তারন তারান (পঞ্জাব), 6 এপ্রিল: পঞ্জাবের তারন তারানে এক প্রৌঢ়াকে নগ্ন করে মারধর এবং রাস্তায় দৌড় করানোর অভিযোগ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে ৷ জানা গিয়েছে, তাঁর ছেলে একমাস আগে প্রতিবেশীর মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন ৷ সেই রাগে প্রৌঢ়াকে গত রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে একা পেয়ে মারধর ও জামাকাপড় ছিঁড়ে রাস্তায় দৌড় করাল তাঁর পুত্রবধূর পরিবারের সদস্যরা ৷ ঘটনায় 2 অজ্ঞাত পরিচয়-সহ 5 জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় একমাস আগে প্রতিবেশীর মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন যুবক ৷ তাঁরা রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছিলেন ৷ অভিযোগ কয়েক সপ্তাহ পরে 31 মার্চ সন্ধ্যায় যুবকের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর বাড়ির সামনে এসে চিৎকার করতে শুরু করেন ৷ সেই সময় বাড়িতে ওই যুবক এবং তাঁর স্ত্রী কেউ ছিলেন না ৷ বাড়িতে যুবকের মা একা ছিলেন ৷ তিনি চিৎকার শুনে বাইরে বেরিয়ে আসেন ৷
অভিযোগ, প্রৌঢ়া বাইরে আসতেই তাঁর উপর চড়াও হয় মেয়েটির ভাই এবং মা ৷ তাঁরা প্রৌঢ়াকে মারধর করতে থাকে ৷ তাদের সঙ্গে অপরিচিত আরও দু’জন ছিলেন ৷ মারধরের পাশাপাশি প্রৌঢ়ার পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ৷ সম্ভ্রম রক্ষায় প্রৌঢ়া বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তা দিয়ে দৌড়াতে শুরু করেন ৷ অভিযোগ সেই সময় অভিযুক্তরা তাঁর ভিডিয়ো করছিলেন ৷ তিনি সম্মান বাঁচাতে একটি দোকানের ভিতরে লুকিয়ে পড়েন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পরপরই সোশাল মিডিয়ায় প্রৌঢ়ার সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে দেয় অভিযুক্তরা ৷ সম্প্রতি নির্যাতিতা প্রৌঢ়া তাঁর পত্রবধূর পরিবারের তিনজন এবং অপরিচিত 2 ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ পুলিশ সোশাল মিডিয়া থেকে সেই ভিডিয়োটি সরিয়ে দিয়েছে ৷ সেই সঙ্গে ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 354, 354বি, 354ডি ও 149 নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:
- খাস কলকাতায় তরুণীকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ, গ্রেফতার পরিচিত দুই যুবক
- 45 বছর বয়সি আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন
- ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষককে লাইট পোস্টে বেঁধে গণপ্রহার