আগ্রা, 4 অক্টোবর: মেয়ে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত ৷ তাঁর নাম-পরিচয় ফাঁস করে দেওয়া হবে ৷ পুলিশের নাম করে এমন ভুয়ো ফোন আসে এক শিক্ষিকার কাছে ৷ টাকাও দিলে মেয়ের পরিচয় গোপন রাখবে তারা, জানানো হয় ফোনে ৷ এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রৌঢ় শিক্ষিকা ৷ পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ পরে জানা যায় ওই ফোনটি করেছিল সাইবার অপরাধীরা ৷ ঘটনাটি আগ্রায় ৷
মৃতার ছেলে দীপাংশু রাজপুত বলেন, "আমার মা মালতী ভার্মা (58) ৷ তিনি আগ্রার একটি জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষিকা ৷ দুপুর 12টা নাগাদ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে হোয়াটসঅ্যাপে ৷ ফোন মাকে বলা হয়, তাঁর মেয়ে যৌন কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়েছে ৷ মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমাগত মাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল ৷ ওরা নাম-পরিচয় ফাঁস করে দেবে বলে ধমকাচ্ছিল ৷" ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ ইনস্পেক্টর বলে পরিচয় দিয়েছিল, জানান দীপাংশু ৷
এরপর ঘটনার সত্যতা জানতে শিক্ষিকার মেয়েকে ফোন করা হয় ৷ সেখানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তাঁর মেয়ে ৷ দীপাংশু বলেন, "আমি আমার বোনকেও ফোন করে কথা বলি ৷ সবকিছু স্বাভাবিক ছিল ৷ আমি মাকে বলি তিনি যেন আর দুশ্চিন্তা না করেন ৷ কারণ এটা সাইবার অপরাধীদের ফোন ৷ কিন্তু মা খুবই চিন্তা করছিল ৷ স্বাভাবিকভাবে, তাঁর শরীর খারাপ হতে থাকে ৷"
স্কুল থেকে ফিরে অসুস্থবোধ করছিলেন শিক্ষিকা ৷ ছেলে বলেন, "স্কুলের পরে বাড়ি ফিরে মা বুকে ব্যথা হচ্ছে বলে জানান ৷ তিনি দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন ৷ এরপর আমরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না ৷ চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷"
স্থানীয় জগদীশপুরা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক আনন্দবীর সিং বলেন, "আমরা পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি ৷ পদক্ষেপ করা হবে ৷"