নয়াদিল্লি, 16 মে: বর্ষার আগমন নিয়ে বড় ঘোষণা করল মৌসম ভবন। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল নির্ধারিত সময় বর্ষা আসবে দেশে। গত কয়েক বছরে একাধিকবার নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে বর্ষা এসেছে । এবার তা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। শেষ কয়েক দশকের হিসেবে দেশে বর্ষা আসে আন্দামান সাগর হয়ে। আর মূল ভূখণ্ড হিসেবে প্রথমে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করে। আন্দামানে বর্ষা প্রবেশ করে মে মাসের একেবারে শেষে। আর জুনের 1 তারিখ কেরলে প্রবেশ করে 'ঋতুরানি'। এবারও তাই হবে বলেই অনুমান করছেন আবহাওয়া দফতর।
মৌসুমি বায়ুর গতি-প্রকৃতি
দেশে বর্ষা প্রবেশ করা মানে আদতে হাওয়া বদল। দক্ষিণা বাতাসের দাপট কমে দক্ষিণ-পশ্চিমী বাতাস প্রভাব বিস্তার করা থেকেই বোঝা যায় দেশে বর্ষা প্রবেশ করেছে। প্রতি বছর নির্দিষ্ট কোনও একদিনে এমনকী নির্দিষ্ট সপ্তাহে বর্ষা আসে না। নানা ধরনের বদল ঘটতে থাকে। তারই মধ্যে একটি গড় হিসেব করে নেয় হাওয়া অফিস। বর্ষা আসার তারিখও সেভাবেই বের করা হয়েছে। পাশাপাশি বর্ষা কেমন হল তা প্রতি বছরই আলাদা আলাদা করে জানায় হাওয়া অফিস। এভাবেই বেশ কয়েক বছরের গড় হিসেব কষে দেখে হাওয়া অফিস। এই ধরনের শেষ হিসেব হয়েছিল 2020 সালে। মৌসম ভবনের সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের মোট বৃষ্টির 70 থেকে 90 শতাংশ হয়ে যায়। তাই জুন থেকে দেশের কোন অংশে কেমন বৃষ্টি হল তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বর্ষা আসতে দেরি হলে বৃষ্টির পরিমাণ কম হয়। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে দেশের অর্থনীতিতে।