কাঙ্কের (ছত্তিশগড়), 16 নভেম্বর:সকাল তখন 8টা ৷ শনিবার মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড় সীমান্তের কাছাকাছি বস্তারের কাঙ্কের এলাকায় শুরু হয় গুলির লড়াই ৷ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ যায় অন্তত 5 মাওবাদীর ৷ ওই এলাকায় মাওবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর এসেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। তারপরই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ), ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর জওয়ানরা অভিযান চালান। শুরু হয় গুলির লড়াই ৷ বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলে।
ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে নিহত 5 মাওবাদী, জখম 2 জওয়ান
কাঙ্কেরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল 5 মাওবাদীর ৷ আহত হয়েছেন দুই জওয়ান ৷ ওই এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও ৷
Published : 4 hours ago
5 মাওবাদীর দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী ৷ ওই অঞ্চলে আরও কোনও মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে বর্তমানে ওই এলাকায় এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে। সংঘর্ষে আহত দুই নিরাপত্তা কর্মীকে চিকিৎসার জন্য রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং দু'জনেরই অবস্থা স্থিতিশীল ৷ সম্প্রতি, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ছত্তিশগড়ে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে। গত 4 অক্টোবর ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে 38 জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল। সরকারি তথ্য অনুসারে, চলতি বছরে বস্তার অঞ্চলে এনিয়ে মোট 197 জন মাওবাদী নিহত হয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মাওবাদী-বিরোধী অভিযানের অংশ হিসাবে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে তল্লাশি অভিযান চলে ৷ এদিন আগে থাকতে খবর ছিল যে জঙ্গলে মাওবাদীরা রয়েছে ৷ তারা কিছু একটা দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে ৷ খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷ বাহিনীকে দেখেই মাওবাদীরা গুলি চালাতে শুরু করে ৷ জওয়ানরাও পালটা গুলির জবাব দেয় ৷ এখন সব সেনা জওয়ানই নিরাপদে রয়েছে ৷