বেঙ্গালুরু, 7 এপ্রিল: রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহারা জেলে বসেই ছকা হয়েছিল এই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা। পরিকল্পনাকারী মাজ মুনির আবার শিবমোগা ট্রায়াল বিস্ফোরণ এবং ম্যাঙ্গালুরু গ্র্যাফিটি মামলায় সন্দেহভাজন ৷ তাকেই অগ্রহারা জেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এনআইএ সূত্রে খবর ৷
শিবমোগা এবং ম্যাঙ্গালুরু ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মাজ মুনির ইতিমধ্যেই পারাপ্পানা অগ্রহারা সেন্ট্রাল জেলে ছিলেন। চিকমাগালুরুর মুজামিল শরিফের বিবৃতির ভিত্তিতে মুনিরকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সম্প্রতি মুজামিল শরিফকে এনআইএ গ্রেফতার করেছিল ৷ মুনিরকে বডি ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এনআইএ সূত্রে খবর। পরে, তাকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে পেশ করা হয় ৷ একইসঙ্গে তাকে ফের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও এনআইএ সূত্র জানা গিয়েছে।
রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ মামলার পরে, এনআইএ আধিকারিকরা গত 5 মার্চ পারাপ্পানা অগ্রহারা জেল-সহ দেশের 18টি জায়গায় অভিযান চালায়। এই সময়ে মাজ মুনিরকে আট দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনআইএ। এই সময় অভিযুক্ত জিজ্ঞাসাবাদে কোনও তথ্য দেয়নি বলেও দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। কিছু তথ্যের ভিত্তিতে এনআইএ আধিকারিকরা চিকমাগালুরুর মুজামিল শরিফকেও গ্রেফতার করে। এনআইএ সূত্র জানিয়েছে, মুজামিল শরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় মাজ মুনিরের কার্যকলাপ সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়ার পরে মুনিরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাজ মুনির শিবমোগা জেলার তীর্থহাল্লি তালুক থেকে একজন ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক। কয়েকবছর আগে, তিনি ম্যাঙ্গালুরুতে একটি গ্র্যাফিটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ৷ পরে অবশ্য জামিন পেয়েছিল সে। পরে তাকে শিবমোগা ট্রায়াল বিস্ফোরণের মামলায় ফের গ্রেফতার করা হয়। এই মামলার এনআইএ তদন্তের সময় বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে আসে। জানা যায়, মুনির ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে জড়িত ৷
আরও পড়ুন:
- ভূপতিনগরে এনআইএ-র বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তৃণমূল নেতার পরিবারের
- এনআইএ কর্তার সঙ্গে 52 মিনিটের বৈঠক করেছেন জিতেন্দ্র, বিস্ফোরক দাবি কুণালের