নয়াদিল্লি, 26 জানুয়ারি: সাধারণতন্ত্র দিবসেও ভগবান শ্রীরামের ছোঁয়া৷ রামচন্দ্রের প্রধান রং হিসেবে বিবেচিত হয় হলুদ রং ৷ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই হলুদ রংয়ের পাগড়ি পরেই হাজির ছিলেন ভারতের 75তম সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ৷ গত সোমবার অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তার পর তাঁর এই হলুদ রংয়ের পাগড়ি পরে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া অন্য মাত্রা এনে দিল ৷
এ দিন প্রধানমন্ত্রী যে পাগড়িটি পরেছিলেন, সেটি ছিল রাজস্থানী বাঁধিনী প্রিন্টের ৷ এছাড়া তাঁর পরনে ছিল সাদা কুর্তা এবং পায়জামা ৷ সঙ্গে ছিল বাদামী রংয়ের নেহরু জ্যাকেট ৷ এ দিন প্রথমে প্রধানমন্ত্রী যান নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে ৷ সেখানে তিনি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া বীর জওয়ানদের প্রতি ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিনবাহিনীর প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ৷
সেখান থেকে সোজা কর্তব্যপথে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলে যান প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি পৌঁছানোর পর সেখানে আসেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেখানে আসেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাঁকর ৷ তিনি এবারের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ৷ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে 75তম সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘‘75তম সাধারণতন্ত্র দিবসের বিশেষ উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা । জয় হিন্দ !’’
এবার সামরিক পরিসরে ভারতের শক্তিবৃদ্ধি ও নারীশক্তির উত্থানের উপরই বেশিরভাগ ট্যাবলো ছিল ৷ সেসব নিয়ে আলোচনা তো চলছেই ৷ কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে মোদির পাগড়ি নিয়ে যদিও 2014 সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর থেকে স্বাধীনতা দিবস ও সাধারণতন্ত্র দিবসে নরেন্দ্র মোদির পাগড়ি নিয়ে তুমুল আগ্রহ থাকে জনগণের ৷ প্রতিবছরই তিনি ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের পাগড়ি ব্যবহার করেন ৷ সেই পাগড়ির মাধ্যমে নানা বার্তাও দেন ৷ যেমন হর ঘর তিরঙ্গা-র প্রচারে তেরঙা পাগড়িও তাঁকে পরতে দেখা গিয়েছে ৷