নয়াদিল্লি, 31 জানুয়ারি: সংসদে বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বক্তব্যে খুশি নয় কংগ্রেস ৷ প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের দাবি, এটি একটি সম্পূর্ণরূপে নির্বাচনী ভাষণ ৷ একই সঙ্গে তিনি জানান, একতরফা বক্তব্য রাখা হয়েছে ৷ যেখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বাদ পড়েছে।
শশী থারুর সংবাদসংস্থা এএনআই'কে বলেন, "রাষ্ট্রপতিকে একটি নির্বাচনী ভাষণ লিখে দেওয়া হয়েছে। ওরা (বিজেপি সরকার) যা করেনি তা নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। বরং, দাবি করেছে ওরা মানুষকে দারিদ্র্যতা থেকে বের করে এনেছে, আবার 81 কোটি মানুষকে খাদ্যশস্য দেওয়ার কথাও বলেছে। এটি একটি একতরফা বক্তব্য ৷ যেখেনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়ে গিয়েছে ৷ আমার বিশ্বাস, লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে মানুষকে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে ৷" অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ সংবাদসংস্থাকে বলেন, "মনে হচ্ছে সরকার সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে।" তিনি স্পষ্ট বলেন, "চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল, একইভাবে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুগুলিকেও ভেঙে চুরমার করা হয়েছে। আমি মনে করি যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা উপকৃত হচ্ছেন, এই বছরের বাজেটের পরও তারা সুবিধা পেতে থাকবে ৷”
বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ দানিশ আলিও রাষ্ট্রপতির ভাষণের সমালোচনা করে বলেন, "রাষ্ট্রপতির ভাষণে বিশেষ কিছু ছিল না। সরকার বলছে চাকরি দিয়েছে, কিন্তু কাকে? সরকারের কিছু বন্ধু চাকরি পেয়েছে। সরকারের আসলে বলার কিছু নেই ৷” যদিও বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন ৷ তাঁর কথায়, "তরুণদের বক্তৃতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা উচিৎ, বিরোধীদের নয়।"
দিলীপের কথায়, দেশের যুবকরা প্রতিভাবান এবং তারা বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ তৈরি করছে। আগে ইন্ডিয়া জোট প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত ছিল, কিন্তু এখন তাদের ক্যাপ্টেন চলে যাওয়ার পর তারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে ৷” রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি জানিয়েছেন, মোদি সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য যেভাবে কাজ করেছে তারপরে বিরোধী দলগুলির এখন উত্থাপন করার মতো কোনও সমস্যা নেই ৷ (এএনআই)