পুরী, 13 জুন: খুলে দেওয়া হল পুরী জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজাই ৷ রাজ্যে সরকার গঠনের পর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির ক্য়াবিনেটের প্রথম সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই পদক্ষেপ ৷ বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মন্দিরের চারটি দরজাই বৃহস্পতিবার পাঁচ বছর পর পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হল। ক্য়াবিনেট বৈঠকের পর ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি এবং রাজ্যের মন্ত্রীরা জগন্নাথের কাছে প্রার্থনাও করতে যান।
খুলে দেওয়া হল পুরী জগন্নাথ মন্দিরের সবক'টি দরজা, সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রিসভায় - Puri Jagannath Temple
Puri Jagannath Temple: খুলে দেওয়া হল জগন্নাথ মন্দিরের সবকটি দরজা ৷ এবার থেকে শ্রীমন্দিরের সব দরজা দিয়েই ভিতরে ঢুকতে পারবেন ভক্তরা ৷ সিদ্ধান্ত রাজ্য ক্য়াবিনেটের ৷
Published : Jun 13, 2024, 3:26 PM IST
মুখ্যমন্ত্রী ও সব মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্দিরের চারটি দরজা এদিন খুলে দেন প্রশাসনের কর্তারা। এবার মন্দিরের সবক'টি দরজা দিয়েই ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে এবং জগন্নাথ দর্শন করতে পারবেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মন্দিরের চারটি দরজাই খুলে দেওয়ায় স্বাভবািকভাবেই খুশি ভক্তরা। গত মার্চ 2020 থেকে কোভিড বিধিনিষেধের কারণে মন্দিরের সবক'টি দরজা দিয়ে ভক্তদের প্রবেশ বন্ধ ছিল। মন্দিরের ভিতরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে, রাজ্য সরকার ভক্তদের শুধুমাত্র মন্দিরের সিংহদ্বার দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয়। পরে, কোভিড বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও ভক্তদের মন্দিরের সিংহদ্বার দিয়েই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এই নিয়ে বিক্ষোভও দেখায় পাণ্ডাদের একাংশ ৷ তারপরও অবশ্য তৎকালীন বিজেডি সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। যা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষও দেখা দিয়েছিল।
এটাকেও এবার নির্বাচনী ইস্যু বানিয়ে নির্বাচনে লড়েছে বিজেপি। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভক্তদের জন্য মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। ওড়িশায় বিজেপি সরকারের শপথ নেওয়ার পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি মন্দিরের চারটি দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। শ্রী মন্দিরের সব দরজা খুলে দেওয়ায় স্বাভাবিকবাবেই খুশি ভক্তরা ৷ অন্যদিকে, মন্দিরে ভক্তদের সুবিধার জন্য জুতোর স্ট্যান্ড, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং শিলাবৃষ্টি থেকে সুরক্ষার জন্য শেডের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। অন্যদিকে, নতুন মুখ্যমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মন্দিরের সেবায়েত এবং পাণ্ডারা।