গুয়াহাটি, 7 জুলাই:ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে অসমে ৷ জলের তলায় বহু গ্রাম ৷ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, মৃত্যু হয়েছে বহু বন্যপ্রাণীর ৷ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ ৷ এই অবস্থায় রবিবার কামরূপ জেলার ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ৷ কথা বললেন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে ৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে এই দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এদিন সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্সে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করা হয় ৷ তাতে জানানো হয়েছে, "আজ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা পলাশবাড়ির অমৃত চন্দ্র ঠাকুরিয়া কমার্স কলেজে ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেছেন ৷ যেখানে 28 জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ৷ হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁদের দেওয়া সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং সুযোগ-সুবিধাগুলি খতিয়ে দেখেছেন ৷ একই সঙ্গে চিকিৎসার সুবিধা, নিরাপদ পানীয় জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী সঠিকভাবে সরবরাহ করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন । তিনি শিশু এবং বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিতে বলেছেন ৷"
মুখ্যমন্ত্রী নাহিরার এলপি স্কুলের একটি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া লোকদের সঙ্গেও এদিন দেখা করেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, হিমন্ত বিশ্বশর্মা সেখানে আশ্রয় নেওয়া 236 জনের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং জেলা প্রশাসনকে শিবিরে সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বস্ত করেছেন, বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।
সরকারি তথ্য অনুসারে, রাজ্যের 29টি জেলার মোট 23 লক্ষ 96 হাজার 648 জন এবং 3 হাজার 535টি গ্রাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ব্রহ্মপুত্র যে এলাকাগুলিতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে- নিমাটিঘাট (জোরহাট), তেজপুর (সোনিতপুর) এবং ধুবরি (ধুবরি) ব্রহ্মপুত্র, চেনিমারির বুরহিডিহিং (ডিব্রুগড়), শিবসাগরের দিখৌ, নাংলামুরাঘাটের দিসাং (শিবসাগর), নুমালিগড়ে (গোলাঘাট) ধানসিড়ি, ধরমতুলে কপিলি (নগাঁও), করিমগঞ্জের কুশিয়ারা এবং কাছাড়ের (বিপি ঘাট) বরাক নদী এলাকা ৷
বোরঝারের আঞ্চলিক হাওয়া অফিস ধুবরি, কোকরাঝাড়, চিরাং, বাক্সা, কাছাড় এবং করিমগঞ্জের বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ৷ তার জন্য 'ওয়াচ' বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ৷