নয়াদিল্লি, 12 ডিসেম্বর: আবারও সংবাদ শিরোনামে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। 'সবরমতী রিপোর্ট' ছবিটি দেখানোর সময় পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির দাবি, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই সিনেমাটি দেখানো হচ্ছিল। প্রায় কয়েকশো ছাত্র তাতে অংশ নিয়েছিলেন। আচমকাই তাঁদের গায়ে পাথর এসে পড়তে থাকে।
এই ঘটনার জেরে কিছুক্ষণের জন্য সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ রাখা হয়। পরে ফের তা শুরু হয় । এমনই দাবি, জেএনইউ-র এবিভিপি প্রধান রাজশ্বের কান্ত দুবের। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, পাথর ছোড়ার ঘটনায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা ছাত্র সংসদ কোনও সাহায্য করেনি।
সবরমতী রিপোর্ট দেখছেন পড়ুয়ারা (নিজস্ব চিত্র) দেশের অন্যতম সেরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিনেমা বা তথ্যচিত্র দেখানো ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা আগে বহুবার ঘটেছে। অনেকবার এই সিনেমা দেখানোর মতো ঘটনার জেরে বড় সংঘর্ষও হয়েছে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নামাঙ্কিক এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। গত কয়েক বছরে কখনও 'পদ্মাবত', কখনও আবার 'কাশ্মীর ফাইলস' ছবি দেখানো নিয়ে গোলমাল বাঁধে ।
গত বছরও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। গুজরাত দাঙ্গা এবং সে সময় হওয়া কয়েকটি ঘটনা নিয়ে বিবিসি দুটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিল। তাতে তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এবং অধুনা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় দেখানো হয়। ভারতে এই দুটি তথ্যচিত্র দেখানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার।
ছবি দুটি জেএনইউ-তে দেখানোর চেষ্টা করে বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়ন । আর সেই ঘটনা ঘিরেও উত্তেজনা চরমে। এসএফআই পরিচালিত ছাত্র সংগঠনের দাবি, অশান্তি পাকিয়েছিল এবিভিপি। আবার পাল্টা এবিভিপি দাবি করে, ছাত্র সংসদের দায়িত্বে থাকা নেতা-নেত্রীরা দেশে নিষিদ্ধ এমন ছবি দেখিয়ে সরকারের নির্দেশ অমান্য করেছেন। পাশাপাশি তাঁদের নির্দেশেই এবিভিপি-র নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়। 'সবরমতী রিপোর্ট' ছবিটিও গুজরাত দাঙ্গা এবং তার আশপাশে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা নিয়ে তৈরি। সেই ছবি দেখানো ঘিরেও ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হল ভারতের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে।