হায়দরাবাদ: মাতৃমৃত্যু রোধে সচেতনতা তৈরি করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে । প্রতি মাসে গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মা ও শিশুর জন্ম-পরবর্তী পরিচর্যায় বিলিয়ন ডলার খরচ হয় । জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এসব পরিকল্পনাকে উপহাস করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে । প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রতি 2 মিনিটে একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় বা সন্তান প্রসবের সময় মৃত্যু হয় (Pregnancy)।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেতনতা থাকা সত্ত্বেও কেন এত মাতৃমৃত্যু ঘটছে । এর জন্য দায়ী হতে পারে সচেতনতার অভাব । কারণ বেশিরভাগ মহিলা এখনও জানেন না গর্ভাবস্থায় কী খাবার খেতে হবে, কীভাবে নিজের যত্ন নিতে হবে । শুধু গর্ভবতী নারী নয়, পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে । গর্ভাবস্থায় মায়ের যত্ন নিলে সুস্থ শিশুর জন্ম হতে পারে এবং মা'ও সুস্থ থাকতে পারেন । তাই গর্ভাবস্থায় কোন খাবারগুলি মাকে সুস্থ রাখে এবং এই সময়ে কীভাবে নিজের যত্ন নিতে হয়, জেনে নিন ৷
চিকিৎসকদের মতে, গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন অপরিহার্য । বিভিন্ন ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন এ যুক্ত খাবার মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । কারণ এটি প্রসবের পর টিস্যু পুনর্জন্মে সাহায্য করে । এই উপাদান শরীরে উৎপাদিত হয় না । প্রকৃতিতে পাওয়া খাদ্য উপাদানে সঞ্চিত থাকে । ভিটামিন এ পাওয়া যায় মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, ডিম এবং প্রোটিন জাতীয় খাবারে ।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় এই খাবারগুলি খান সুস্থ থাকবে শিশু
বেশিরভাগ ফল ও সবজিতেও ভিটামিন এ পাওয়া যায় । বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি হল ভিটামিন এ'র উৎকৃষ্ট উৎস । মূলো, পালং শাক, গাজর, ভ্যানিলা আইসক্রিম, পনির, দুধ, তরমুজ, আম, ডিম, ব্রকোলি ইত্যাদিতে ভিটামিন-এ পাওয়া যায় । একইভাবে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যামোনিয়ার মতো জটিলতা দেখা যায় । এগুলি এড়াতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা অপরিহার্য । ভিটামিন ও প্রোটিন গ্রহণ এবং ব্যায়ামও অপরিহার্য । ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলুন । অন্যথায় এই খারাপ অভ্যাসগুলি সরাসরি স্বাস্থ্য এবং অনাগত শিশুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে । সচেতনতার মাধ্যমে যেকোনও স্বাস্থ্য সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে ।