হায়দরাবাদ :ই-সিগারেট কীভাবে অঙ্গ প্রত্য়ঙ্গের উপর প্রভাব ফেলে এবং তার স্থায়ী পরিবর্তন ঘটিয়ে দেয়, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা সামনে এনেছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি-সান দিয়েগোর গবেষকরা ৷ লাইফ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণার ফলাফল রীতিমত চাঞ্চল্যকর (E cigarette health hazards ) ৷ গবেষকরা একদল ইঁদুরের ওপর এই নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন ৷ তিন মাসের জন্য প্রতিদিন তিনবার করে করে স্বাদযুক্ত অ্যারোসল দেওয়া হয়েছিল ইঁদুরগুলিকে ৷ গবেষকরা এরপর শরীর জুড়ে প্রদাহের লক্ষণগুলি খতিয়ে দেখেছেন ৷ তাঁরা দেখেছেন, মস্তিস্কের উপর এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে ৷ নিউক্লিয়াস অ্যাকম্বেন্সে নিউরোইনফ্ল্যামেটরি জিনের এক্সপ্রেশনে উল্লেখ্য়যোগ্য পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম ই-সিগারেট ৷ এটি প্রেরণা এবং পুরস্কার প্রক্রিয়াকরণের জন্য মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ৷
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, নিউরোইনফ্লেমেশন অর্থাৎ মস্তিস্কের যে অঞ্চল উদ্বেগ, বিষন্নতা এবং আসক্তিমূলক আচরণের সঙ্গে যুক্ত তার উপরেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে ই-সিগারেট ৷ বিশেষত ই-সিগারেটের প্রতি আসক্তি তৈরি হলে পরবর্তী ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে ।
অন্যদিকে দেখা গিয়েছে, ভেপিংয়ের ফলে হৃদপিন্ডে প্রদাহজনক মার্কারের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে । গবেষকদের মতে, ইমিউনোসপ্রেশনের এই অবস্থা কার্ডিয়াক টিস্যুগুলির সংক্রমিত সম্ভবনা আরও বেড়ে যেতে পারে ৷ ফুসফুসের টিস্য়ুস্তরে প্রদাহের লক্ষণ লক্ষিত না হলেও অসংখ্য জিনের অভিব্যক্তির পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে ৷ তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উপর এটি কতখানি প্রভাব ফেলবে তার জন্য গবেষণা প্রয়োজন ৷