রায়গঞ্জ, 1 জুন :প্রায় দেড় বছর ধরে করোনার কারণে কাজ নেই বললেই চলে ৷ গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফেও যেমন কাজের কোনও ব্যবস্থা করা যায়নি, তেমনই আবার লকডাউন পরিস্থিতির জেরে ভিন রাজ্যেও যেতে পারছেন না উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের যুবকরা ৷ ফলে হতাশা গ্রাস করছে তাঁদের ৷ আর সেই হতাশা কাটাতে তাঁরা আশ্রয় নিচ্ছেন নেশার ৷ এমনকি নেশার টাকা জোগাড় করতে বাড়ির জিনিসপত্রও বিক্রি করে দিচ্ছেন তাঁরা ৷ পাশাপাশি চুরির মতো অপরাধের সঙ্গেও নিজেদের জড়িয়ে ফেলছেন তাঁরা ৷ এমনই ছবি ধরা পড়ল রায়গঞ্জ ব্লকের নোয়াপাড়া গ্রামে ৷ এর ফলে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ ৷ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে নেশাগ্রস্ত পরিবারের লোকজন, সকলেই নানা ভাবে চেষ্টা করলেও নেশাগ্রস্তদের আর নেশার কবল থেকে উদ্ধার করতে পারছেন না ৷
স্থানীয়দের দাবি, নোয়াপাড়া গ্রামটার নাম ধীরে ধীরে বদলে গিয়ে ‘পাতা খাওয়া গ্রাম’ হয়ে গিয়েছে ! পাতা মানে নেশার পাতা ৷ তা গাঁজা হোক, বা ভাং, কিংবা ব্রাউন সুগার বা চরস ৷ ঘরের ঘটি, বাটি বা সোনার জিনিস বিক্রি করে এইসব নেশার সামগ্রী জোগাড় করছেন গ্রামের কিছু যুবক ৷ আর সেটা না করতে পারলে পাতা খাওয়ার টাকা জোগাড় করতে চুরিও করছেন কেউ কেউ ৷ এই পাতার নেশায় মেতে উঠেছেন রায়গঞ্জ ব্লকের নোয়াপাড়া গ্রামের শয়ে শয়ে কর্মহীন যুবক ৷
2020 সালের মার্চ মাস থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন ৷ বহু কষ্ট করে নিজেদের গ্রামে ফিরে এসেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷ গ্রামে আসার পর থেকেই কাজ না থাকায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তাঁরা ৷ কাজ না থাকায় প্রথম প্রথম একটু-আধটু নেশা করে সময় কাটাতেন ঘরে ফেরা এই পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷ আনলক পর্ব শুরু হতেই অনেকে ফিরে যান ৷