রায়গঞ্জ, 21 অক্টোবর : পণের অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা আনেনি স্ত্রী । বারবার বলা সত্ত্বেও শোনেনি কথা । অভিযোগ, সেই কারণেই বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা কার্বলিক অ্যাসিড খাইয়ে খুন করেছে গৃহবধূকে । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদে । মৃতা গৃহবধূর নাম নোসেবা নাজনিন (20) । তাঁর শশুরবাড়ি হেমতাবাদ এবং বাপের বাড়ি বামনগ্রাম এলাকায় । ঘটনায় গৃহবধূর পরিবারের তরফে গৃহবধূর স্বামী আব্দুল সামাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হেমতাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
গৃহবধূর পরিবারের দাবি, বিয়ের সময় নগদ তিন লাখ টাকা নেওয়ার পরেও অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা পণের দাবি করে নোসেবা নাজনিনের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ অভিযোগ, সেই টাকা না দেওয়ায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ বাড়ির অন্যরা মিলে গৃহবধূকে জোর করে কার্বলিক অ্যাসিড খাইয়ে খুন করেছে ৷ রবিবার রাতে গৃহবধু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয় । বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয় । ঘটনার পর থেকেই গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক । নোসেবা নাজনিনের পরিবারের দাবি, নোসেবা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন । তা সত্ত্বেও তাঁর ওপর অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা । শেষ পর্যন্ত কার্বলিক অ্যাসিড খাইয়ে তাঁকে খুন করা হয় । স্বামী আব্দুল সামাদ সহ শ্বশুরবাড়ি সদস্যদের বিরুদ্ধে হেমতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে গৃহবধূর পরিবার । ঘটনার তদন্ত করছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ ।