রায়গঞ্জ, 7 মে : কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । বন্ধ দোকানপাট, স্কুল ও কলেজ । এই পরিস্থিতেতে কাজ হারিয়ে চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বহু মানুষ। একই পরিস্থিতি মৃৎশিল্পেরও । সংকটে পড়েছেন রায়গঞ্জ ব্লকের সুভাষগঞ্জের পালপাড়া এলাকার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা পরিবারগুলি । রোজগার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম কষ্টে রয়েছেন তাঁরা ।
লকডাউনের জেরে বিপাকে মৃৎশিল্পীরা
কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । বন্ধ দোকানপাট, স্কুল ও কলেজ । এই পরিস্থিতেতে কাজ হারিয়ে চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বহু মানুষ। একই পরিস্থিতি মৃৎশিল্পেরও । সংকটে পড়েছেন রায়গঞ্জ ব্লকের সুভাষগঞ্জের পালপাড়া এলাকার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা পরিবারগুলি ।
রায়গঞ্জ ব্লকের সুভাষগঞ্জের পালপাড়া এলাকার প্রায় 90 টি পরিবার । তাঁরা মাটির হাঁড়ি, ফুলের টব, জলের ফিলটার, পয়সা রাখার খুঁটি সহ অন্যান্য মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে । লকডাউনের জেরে এই এলাকার মৃৎশিল্পীদের জিনিসপত্র বাইরে বিক্রির জন্য যেতে পারছে না। ফলে তাঁদের অর্থাভাব দেখা দিয়েছে । টানা 44 দিন লকডাউনের জেরে তাঁদের তৈরি করা মাটির জিনিসপত্র বাজারে বিক্রি হচ্ছে না । তার ফলে অনাহারে দিন কাটতে হচ্ছে সুভাষগঞ্জের পালপাড়া এলাকার মৃৎশিল্পীদের । তাঁদের অভিযোগ, এখনও সরকারি কোনও সাহায্য পাননি । সারা বছর মাটির বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে সংসারের ভাত জোটে এই মৃৎশিল্পীদের । এখন প্রত্যেকের অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে আছে। কিন্তু লকডাউনের ফলে সমস্ত পুজো-পার্বণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আরও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা । জমানো পুঁজি দিয়ে কাঁচামাল কিনে মাটির সামগ্রী তৈরি করেছিলেন। কিন্তু বিক্রি না হওয়ায় এবার বিপাকে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত সেইভাবে তাঁদের পাশে কেউ দাঁড়াননি বলে অভিযোগ ওই মৃৎশিল্পীদের । বিনয় পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, " লকডাউনের কারণে আমরা মাটির জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারছি না । পাশাপাশি যারা বাইরের থেকে এসে আমাদের মাটির জিনিসপত্র নিয়ে যায় তাঁরাও আসতে পারছেন না । ফলে চরম সমস্যায় পড়ে আছি আমরা । সরকার এই সময় আমাদেরকে দেখলে খুব ভালো হয় । "