রায়গঞ্জ, 5 এপ্রিল: লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ভোটকর্মীদের অনেকেই কোনও কারণ ছাড়াই প্রশিক্ষণে হাজিরা দেননি। আর তাই জেলা নির্বাচন দপ্তরের পক্ষ থেকে শোকজ় করা হয় প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত ভোটকর্মীদের। এদের মধ্যে বেশিরভাগই হলেন স্কুল শিক্ষক। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্কুল শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মর্মে উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মীনা গত 2 এপ্রিল জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর কাছে লিখিত নির্দেশ পাঠিয়েছেন বলে প্রশাসনসূত্রে খবর। ওই চিঠিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষদের সার্ভিস বুকে এই বিষয়টি উল্লেখ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন মেনে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের বেতন না দেওয়ার যে নির্দেশ তার সমালোচনায় সরব হয়েছেন শিক্ষক সংগঠনগুলি। এই নির্দেশ জারি হওয়ার পরে শোকজ় হয়েছেন এমন বেশ কয়েকজন শিক্ষক পুনরায় নির্বাচনের প্রশিক্ষণ নিয়ে ভোটের ডিউটি করার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এই শিক্ষকদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত, স্কুল শিক্ষকদের বেতন বন্ধের নির্দেশ - loksabha election
নির্বাচনের আগে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। কিন্তু ভোটকর্মীদের অনেকেই সেই প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন স্কুল শিক্ষক। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুপস্থিত স্কুল শিক্ষকদের চলতি মাসের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরের 2076টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। এরজন্য প্রায় 10 হাজার ভোটকর্মীর প্রয়োজন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রথম দফায় 23 ও 24 মার্চ রায়গঞ্জ ও ইসলামপুরে 4 টি কেন্দ্রে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দু'দিনের প্রশিক্ষণের পর দেখা যায় 182 জন কর্মী কোনও কারণ ছাড়াই প্রশিক্ষণে যোগ দেননি। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন স্কুল শিক্ষক। জেলা নির্বাচন দপ্তরের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত হওয়ার জন্য শোকজ় করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ হয় চলতি মাসের 2 ও 3 তারিখে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের প্রথম দিনেই প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই এই দাবিতে প্রায় হাজার দেড়েক ভোটকর্মী প্রশিক্ষণ বয়কটের পাশাপাশি আন্দোলন শুরু করেন।