রায়গঞ্জ, 11 এপ্রিল : রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে পালানোর চেষ্টা করলেন এক ব্যক্তি । যদিও পুলিশ ও দমকলকর্মীদের প্রচেষ্টায় তাঁকে ফের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ফিরিয়ে আনা হয় । চিকিৎসকরা জানান, এই ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা । বাড়ি ফিরতে না পারায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন । দ্রুতই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হত । গতকাল রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে পুরো বিষয়টি ঘটে রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাসের সামনে । তিনি এই পরিস্থিতি দেখে হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানোর উপদেশ দিয়েছেন ।
উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের বাসিন্দা ওমপ্রকাশ পাণ্ডে । ছাপাখানায় কাজ করেন । বেশকিছুদিন আগে রায়গঞ্জে এসেছিলেন কোনও কাজে । লকডাউন ঘোষণার পর আর ফিরতে পারেননি । এরই মধ্যে কোরোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁকে আইসোলেশনে পাঠানো হয় । রাখা হয় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে । সেখানেই পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি । গতকাল রাতে হঠাৎই দ্বিতীয় তলার ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে কার্নিশ ধরে পালানোর চেষ্টা করেন । কিন্তু পালানোর পথ না পেয়ে শেষে কার্নিশেই বসে থাকেন । হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীরা দেখতে পেয়ে দমকল ও পুলিশে খবর দেন । সকলে মিলে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি । তিনি কার্নিশ থেকে কোনওভাবেই নামতে চাননি । ইতিমধ্যেই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস । তিনিও ওই ব্যক্তিকে বোঝান । অনেকক্ষণ টানা এমন চলার পর দমকলকর্মী ও পুলিশের প্রচেষ্টায় তাঁকে কার্নিশ থেকে নামানো হয় ।
এবিষয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তিনি বাইরের রাজ্য থেকে আসায় এমনিতেই কোয়ারানটাইনে থাকতে বলা হয়েছিল । কিন্তু তারপর কোরোনার উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশনে রাখা হয় । আইসোলেশনে থাকাকালীন রোজই তিনি বলছিলেন বাড়ি যাবেন । মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন । সেখান থেকেই পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় । কিন্তু ওঁকে বোঝানো হয়েছে, আইসোলেশনে থাকার সময় ওঁর প্রায় শেষ হয়ে গেছে । কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কিছুদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে ।