রায়গঞ্জ, ১৪ মার্চ : রায়গঞ্জ শহরে "বেনফিশ" দপ্তরের অতিথি নিবাসকে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে কার্যত উপেক্ষা করেই এই ঘটনা ঘটছে । গতরাতে রায়গঞ্জ শহরের খরমুজাঘাট রোডের উপর বেনফিস দপ্তরের ওই অতিথিনিবাসে ঘটা করে প্যান্ডেল বেঁধে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই প্রশাসনিক মহলে শোরগোল পড়ে গেছে।
রায়গঞ্জ শহরের খরমুজাঘাট রোডে প্রায় ১৩ বছর আগে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কো-অপারেটিভ ফেডারেশন লিমিটেডের অধীন একটি অতিথি নিবাস তৈরি করা হয়। তৎকালীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী কিরণময় নন্দ ওই অতিথি নিবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। দপ্তরের বিভিন্ন কর্মী, আধিকারিক ও উপভোক্তা বিভিন্ন কাজে জেলা সদরে এলে তাঁদের থাকার জন্য সেখানে ১৪টি ঘর তৈরি করা হয়। প্রথমদিকে ওই অতিথি নিবাসটি ঠিকঠাক চললেও কয়েক বছর ধরে সেটিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া শুরু হয়। ধীরে ধীরে শহরের আর পাঁচটা অনুষ্ঠান ভবনের মতো এই অতিথি নিবাসটিও শহরের বাসিন্দাদের কাছে "বিয়েবাড়ির ভবন" নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। একদিনের জন্য ১০ হাজার ও দুইদিনের জন্য মোট ১৩ হাজার টাকায় এই অতিথি নিবাস বিয়েবাড়ির জন্য ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করেই "বেনফিশ"-এর অতিথি নিবাসে বিয়েবাড়ি " !
চলতি মাসের ৩ তারিখ জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মিটিং করতে আসেন।সেখানে মিটিং চলাকালীন প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী এই অতিথি নিবাস বিয়েবাড়ির জন্য ভাড়া দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।অথচ সেই নির্দেশকে কার্যত উপেক্ষা করে ' বেনফিশ' দপ্তরের অতিথি নিবাসকে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া চলছে।
বেনফিশ দপ্তরের অতিথি নিবাস
ওই অতিথি নিবাস বিয়েবাড়ির জন্য ভাড়া দেওয়া বন্ধ করতে জেলা প্রশাসন ও দলের বিধায়কদেরকেও মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে তার ন্যূনতম গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিয়েবাড়ির জন্য ওই অতিথি নিবাস ভাড়া দেওয়া চলছে।