বিধাননগর, 7 নভেম্বর: 2014 এবং 2017 সালের টেট উত্তীর্ণদের কেন শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) সভাপতি গৌতম পাল (Goutam Paul) ৷ একইসঙ্গে, হাইকোর্টের কিছু পর্ষবেক্ষণ নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তিও দূর করার চেষ্টা করলেন তিনি ৷
উল্লেখ্য, 2014 এবং 2017 সালের টেট উত্তীর্ণরা আদালতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁদের শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না ৷ কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এদিন তার ব্যাখ্য়া দেন পর্ষদ সভাপতি ৷ তিনি জানান, "2017 সালের শংসাপত্র নিয়ে কোনও সমস্য়া নেই ৷ এমনকী, আজই প্রায় 10 হাজার টেট উত্তীর্ণের প্রাপ্ত নম্বর আমরা বলে দিতে পারি ৷ তবে, 2014 সালের টেট উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে ৷ সেগুলিও দ্রুত মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে ৷"
আরও পড়ুন:অনুত্তীর্ণ টেট চাকরিপ্রার্থীদের ফের সুযোগ, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে গৌতম বলেন, "2014 সালে টেট উত্তীর্ণ হয়েছিলেন প্রায় 1 লক্ষ 25 হাজার পরীক্ষার্থী ৷ কিন্তু, একটি ভুল প্রশ্ন সেবারের পরীক্ষায় ছিল ৷ এর জন্য পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের 6 নম্বর করে বাড়ানো হয় ৷ আপাতত, সেই টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র এবং প্রাপ্ত নম্বর আপডেট করার কাজ চলছে ৷" অর্থাৎ, পর্ষদের বার্তা, নম্বর আপডেট করার কাজ শেষ হলেই তাঁরা শংসাপত্র দিয়ে দিতে পারবেন ৷ তবে, একথা পর্ষদ সভাপতি সরাসরি নিজের মুখে উচ্চারণ করেননি ৷ কারণ, এই সংক্রান্ত একটি মামলা হাইকোর্টে চলছে ৷ সেই মামলার শুনানি হবে আগামী বুধবার ৷ তাই আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে ৷
ধোঁয়াশার জবাব দিলেন পর্ষদ সভাপতি ৷ এছাড়াও, সভাপতি জানান, পর্ষদ নিজে এই শংসাপত্র তৈরি এবং আপডেট করার কাজ করছে না ৷ সেই কাজ করছে অন্য সংস্থা (Third Party) ৷ কোনও কারণে সেই কাজ করতে সময় লাগছে ৷ এই বিষয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কারণে পরিষেবা পেতে দেরি হয়, তাহলে সেই সংস্থাকেও সিবিআই তদন্তের আওতায় পড়তে হবে ৷ আদালত কখনই পর্ষদের তৎকালীন সভপতি, বা তৎকালীন অ্য়াডহক কমিটি বা চেয়ারম্য়ানের বিরুদ্ধে এমন কোনও মন্তব্য করেনি ৷ গৌতমের কথায়, "কোনও ভুল বোঝাবুঝির জন্যই এই সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর খবর সম্প্রচারিত হয়েছে ৷"
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, শিক্ষক নিয়োগের সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সম্প্রতি প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা ৷ সেই প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে এবং পর্ষদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতেই এদিন এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ৷