বিধাননগর, 20 জুলাই : মেয়র পদ থেকে ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন সব্যসাচী দত্ত । বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র তাহলে কে ? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে । উঠে আসছে বিভিন্ন নাম । তালিকায় আছেন চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় । তবে, তাঁরা কি সব্যসাচীর সমগোত্রীয় ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, না । তাহলে উপায় ? তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধাননগরের মেয়র পদে পাল্লা ভারী সুজিত বসুর ।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, আসলে সুজিতকে মেয়র করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে তৃণমূল । প্রথমত, সুজিতের সঙ্গে সব্যসাচীর সম্পর্ক যে কতটা 'সুমধুর' তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । তাই, সুজিতকে মেয়র করলে বার্তা যাবে সব্যসাচীর কাছে । দ্বিতীয়ত, নিউটাউন-রাজারহাটে সব্যসাচীর দাপট যথেষ্টই । সুজিতের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে সব্যসাচীর হাত থেকে ওই এলাকাগুলোও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হবে ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা সব্যসাচীর
সুজিত যে মেয়র হচ্ছেনই তা তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি । তবে, তোড়জোড় যথেষ্ট । এমন কী, বিধাননগরের ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদনও করে ফেলেছেন । সুজিত বসু বিধাননগরের বিধায়ক । কিন্তু, তিনি দক্ষিণ দমদম পৌরসভা (শ্রীভূমি) এলাকার ভোটার । সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সেখানকার ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি । এদিকে, সুজিতের সল্টলেকে একটি অফিস আছে । সেই ঠিকানা দেখিয়ে তিনি বিধাননগরের ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন জানিয়েছেন । গতকাল SDO দপ্তরে সেই আবেদনপত্র জমা করেন এক মেয়র পারিষদ । এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার আবেদনও জানানো হয়েছে ।
এ বিষয়ে মহকুমাশাসক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, "একাধিক আবেদনপত্র জমা পড়েছে । বিশেষভাবে কারোর নাম মনে পড়ছে না ।" তিনি এও জানান, কেউ এলাকার বাসিন্দা না হয়েও মেয়র হতে পারেন । তবে, তাঁকে 6 মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে জিতে আসতে হবে ।
এদিকে, সুজিতের আগমনের বার্তা পেয়েই চনমনে কাউন্সিলররা । ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ও বেশ খুশি । তিনি বলেন, "মেয়র হিসেবে নতুন মুখ দেখতে পেলে আশা করছি উন্নয়নের কাজে বাধা থাকবে না । আমরাও নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে পারব ।"