ব্যারাকপুর, 26 নভেম্বর : CAA আইন কার্যকর করতে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। অথচ,মতুয়াদের ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তাই,মতুয়ারা রাজ্য সরকার পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে।ভোল পালটে CAA আইন কার্যকর না হওয়া নিয়ে এভাবেই রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন BJP সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
আজ বিকেলে নিউ ব্যারাকপুরের লেনিনগড় সুভাষ ময়দানে মতুয়াদের এক সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি ও BJP সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।ছিলেন মতুয়া বাড়ির সদস্য সুব্রত ঠাকুরও।সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে CAA আইন কার্যকর না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেন,"CAA এখনও কার্যকর না হওয়ায় মতুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমিও উদ্বিগ্ন। আমরা চাই দ্রুত এই আইন কার্যকর করা হোক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।" CAA আইন কার্যকর না হওয়ায় মতুয়ারা যে প্রতি পদে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়ছেন সেকথাও উঠে এসেছে BJP সাংসদের গলাতে।
তিনি বলেন,"সারা ভারতে প্রায় তিন কোটি মতুয়া রয়েছে। তাঁদের কখনও GRP,আবার কখনও পুলিশি নির্যাতনের মুখে পড়তে হচ্ছে। কখনও আবার ফরেন আইন অ্যাক্টে জেলে পাঠানো হচ্ছে। এই ঘটনা প্রতি মুহূর্তে আমাদের সামনে আসছে। এই নিয়ে অভিযোগ আসছে আমাদের কাছে। তাই অবিলম্বে CAA আইন কার্যকর করা প্রয়োজন। এরপরই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে BJP সাংসদ বলেন,"CAA আইন এখানে কার্যকর করতে দেবে না রাজ্য সরকার। এটা একটা বড় সমস্যা। তবে, রাজ্য সরকারকে বুঝিয়ে দিতে চাই, মতুয়ারা কত বড় জনশক্তি। CAA আইনের আওতায় না আসলে তাঁরা সরকার পরিবর্তনের ক্ষমতাও রাখে ৷"
সম্প্রতি বারাসতে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে CAA আইন কার্যকর না হওয়ায় দলের সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ক্ষোভ প্রসঙ্গে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন সঠিক সময়ে এই আইন কার্যকর হবে গোটা দেশে। আজ সে বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন," করা হবে বললে হবে না। এখনই তা কার্যকর করার প্রয়োজন মতুয়াদের স্বার্থে। তবে আমি আশাকরি এক দু-মাসের মধ্যে এই আইন বলবৎ করা হবে ভারতে ৷"
CAA আইন কার্যকর করতে বাঁধা দিচ্ছে রাজ্য বললেন শান্তনু
CAA আইন কার্যকর করতে বাঁধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মতুয়াদের জনশক্তি রয়েছে সরকার পরিবর্তন করার। রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি BJP সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের।
BJP
প্রসঙ্গত,CAA আইন এখনও কার্যকর না হওয়ায় এর আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি ও BJP সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আজ সেখান থেকে সরে এসে রাজ্য সরকারের কোর্টে বল ঠেললেন BJP সাংসদ।