হাবড়া, 7 জুলাই :দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বাড়ছে রহস্য ৷ শ্যালকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ মৃতার বাবার ৷ তদন্তে উত্তর 24 পরগনার হাবড়া থানার পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম প্রিয়া মণ্ডল ৷ মঙ্গলবার রাতে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ ঘটনাটি ঘটে হাবড়া থানা এলাকার নগরথুবায় প্রিয়ার মামাবাড়িতে ৷ প্রিয়ার বাবা প্রভাস মণ্ডল পেশায় অটোচালক ৷ তিনি হাবড়ারই সংহতি পায়রাগাছি এলাকার বাসিন্দা ৷
বছর ছয়েক আগে স্ত্রী সুমিত্রার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় প্রভাসের ৷ এরপর ছেলেকে নিয়ে মুম্বই চলে যান সুমিত্রা ৷ আর তাঁদের মেয়ের ঠাঁই হয় মামাবাড়িতে ৷ সেখানে থেকেই পড়াশনো করত প্রিয়া ৷ হাবড়া আক্রমপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া ছিল সে ৷
আরও পড়ুন :আগুনে পোড়া যুবতীর নগ্ন দেহ উদ্ধার বর্ধমানে
প্রভাস মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে পিটিয়ে খুন করেছেন শ্যালক অশোক বালা ৷ খুন করে প্রিয়ার দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন প্রভাস ৷ তিনি জানান, মামাবাড়িতে ভালো ছিল না প্রিয়া ৷ মাঝেমধ্য়েই নানা অজুহাতে তাকে মারধর করা হত ৷ প্রভাসের দাবি, প্রিয়া যাতে তার মায়ের কাছ থেকে টাকা চেয়ে মামার হাতে তুলে দেয়, তার জন্য তাকে চাপ দেওয়া হত ৷ এছাড়া, প্রিয়া তার সহপাঠী, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে ভালোবাসত ৷ এটা অশোক ও তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা পছন্দ করতেন না ৷ সেই কারণেও মার খেতে হত ওই কিশোরীকে ৷
প্রভাসের আশঙ্কা, মঙ্গলবারও হয়তো টাকা চেয়ে প্রিয়াকে চাপ দিয়েছিলেন তাঁর মামা ৷ এবং অন্যান্য় দিনের মতোই তাঁর মেয়েকে মারধর করা হয়েছিল ৷ সেই কারণেই প্রিয়াকে প্রাণ হারাতে হয় ৷ প্রভাস জানিয়েছেন, মুম্বইবাসী ছেলের কাছ থেকে মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিলেন তিনি ৷ এরপর হাসপাতালে এসে মেয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বাবা ৷
আরও পড়ুন :খণ্ডঘোষে মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য
মঙ্গলবার রাতেই হাবড়া থানায় শ্যালক অশোক বালার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন প্রভাস ৷ বুধবার বারাসত হাসপাতালের মর্গে প্রিয়ার দেহের ময়নাতদন্ত হবে ৷ সেই রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্য়ুর কারণ স্পষ্ট হবে ৷ সেই মোতাবেক তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে হাবড়া থানার পুলিশ ৷