বারাসত, 3 নভেম্বর: উত্তর 24 পরগনার বারাসত ব্লক ওয়ান কাশিমপুর সিদ্ধেশ্বরীর পুজো প্রায় 300 বছরের পুরনো ৷ অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগের মহাসাধক পুরাণ গিরির সাধন স্থল এই সিদ্ধ পিঠ ।
কথিত আছে, শুটি নদীর তীরে অবস্থিত জঙ্গলাকীর্ণ মহাশ্মশানের দশনামী সম্প্রদায়ভুক্ত সন্ন্যাসী পুরান গিরি একদিন রাতে এই শ্মশানে অবস্থানকালে অসংখ্য শিমুলের মধ্যে থেকে একটি জ্যোতি বিকীর্ণ হতে দেখে এই স্থানে হাজির হন ৷ তিনি দেখেন, একটি শিলাখণ্ড থেকে জ্যোতি বিকীর্ণ হচ্ছে ৷ তিনি ওই শিলাটি সংগ্রহ করেন এবং ওই অসংখ্য শিমুলের মধ্যে ঘট স্থাপন করেন ৷ দোচালা ঘরে প্রতিষ্ঠা করেন দেবীর মৃন্ময়ী মূর্তি । এরপর তিনি সাধনা শুরু করেন এবং দেবী করুণাময়ীর কৃপায় নাকি সিদ্ধিলাভ করেন ৷ শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী আজও বর্তমান এবং সে নিত্য পূজিত হয় । তৎকালীন জমিদার রামজয় চট্টোপাধ্যায় দেবীর মন্দির নির্মাণ করেন এবং বংশানুক্রমে সেবা ও মন্দির পরিচালনা করতে থাকেন ।
আরও পড়ুন:Dakatia Kali Puja: অমাবস্যার রাতে বর্ধমানের রাজাকে চাঁদ দেখিয়েছিলেন সাধক
300 বছরের পুরনো বারাসতের সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পুজো 1980 সালে কালের নিয়মে প্রাচীন মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ৷ পাঁচু গোপাল চক্রবর্তী, নৃপেন্দ্রনাথ পাল, প্রফুল্ল চক্রবর্তী, নিত্যানন্দ সাহা-সহ আরও অনেক ভক্ত ও গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বর্তমান মন্দিরের উত্তর পাশে একটি অস্থায়ী মন্দির তৈরি হয় এবং সেখানেই দেবীর নিত্য সেবা চলতে থাকে ৷ পরবর্তীকালে সুকৃতি চট্টোপাধ্যায়, হরিপদ ঘোষ, সুবোধ কুমার বোস, বাদল চক্রবর্তী, অনিল কুমার মুখোপাধ্যায়, গোপাল নাথ, বাবুলকান্তি দত্ত-সহ আরও অনেক ভক্তের নিরলস চেষ্টায় 1999 সালে বর্তমান সুদৃশ্য মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । পাশের অস্থায়ী মন্দিরটিও ভাল করে তৈরি করা হচ্ছে ৷ প্রতি বছর সেখানেই দেবীমূর্তি মাসখানেকের জন্য নিয়ে গিয়ে মূল মন্দিরটির সংস্কারের কাজ করা হবে বলে জানালেন পুরোহিত ৷
আরও পড়ুন:Medinipur Kali Puja : জমি বিবাদে জায়গা বদল মানিকপুরের মোটা কালীর পুজোয়