বারসত , 27 ফেব্রুয়ারি : প্রথমে শোভন চট্টোপাধ্যায় । তারপর ফিরহাদ হাকিম । তাঁদের মেয়র হিসেবে চেয়ে পোস্টার পড়েছিল কলকাতায় । এবার একই ধরনের পোস্টার পড়ল বারাসতে ৷ প্রাক্তন পৌরপ্রধান তথা CPI(M) নেতা প্রদীপ চক্রবর্তীর হয়ে শহরের কয়েকটি জায়গায় পোস্টার পোস্টার পড়ে। সেখানে লেখা, "এবার বারাসত পৌরসভায় প্রদীপ চক্রবর্তীকেই চাই ।" নিচে লেখা- বারাসত নাগরিক সমাজ ।
নাগরিক সমাজের নামে এই পোস্টার পড়লেও এর পিছনে কারা রয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য । ২০০৯ থেকে টানা ১০ বছর বারাসতের পৌরপ্রধান ছিলেন CPI(M) নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী । তখন তিনি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । তারপর থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি প্রদীপবাবুকে ।
প্রদীপ চক্রবর্তী ও বর্তমান পৌরপ্রধানের বক্তব্য
যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল । তাদের বক্তব্য, পোস্টার দিয়ে কখনও নির্বাচন হয় না। নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোট দেয় কাজের নিরিখে । তাই পোস্টার নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই । CPI(M)-র জেলা নেতৃত্বও এখনই এবিষয়ে খোলসা করে কিছু বলতে চাইছেন না। তবে, সেই সঙ্গে পৌর নির্বাচনে প্রদীপ চক্রবর্তীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেয়নি তারা । যার ফলে জল্পনা আরও বেড়েছে । আর এনিয়ে ধোঁয়াশা আরও বাড়িয়েছেন খোদ প্রদীপ চক্রবর্তী নিজেই । তিনি বলেন," পৌরভোটে লড়াই করব কি না, সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে,বারাসত শহরের বিভিন্ন অংশের মানুষ আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চেয়ে প্রস্তাব দিচ্ছেন। এটা অকল্পনীয় ।" শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর নামে পোস্টার পড়া নিয়ে প্রদীপবাবু বলেন, "আমার ষাট বছরের রাজনৈতিক জীবনে এই ধরনের ঘটনা দেখিনি। এটা আমার কাছে অভূতপূর্ব"।
বর্তমান তৃণমুল পরিচালিত বারাসত পৌরসভার পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, "পোষ্টার নির্বাচনে কথা বলে না। নির্বাচনে কথা বলে মানুষ।" প্রদীপ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "তাঁর আমলে বারাসতের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়েছিল । ক্ষমতায় এসে আমরা সেই থমকে থাকা উন্নয়নের গতি বাড়িয়েছি। "