হিঙ্গলগঞ্জ, 14 এপ্রিল: শ্মশান বলতে রয়েছে চারটি লোহার খুঁটি (Hingalganj cremation ground)। এ ছাড়া পরিকাঠামোর আর কিছুই নেই হিঙ্গলগঞ্জের গৌড়েশ্বর নদীর চরের শ্মশানে। চারদিকে শুধু নিস্তব্ধতা । নেই সেখানে কোনও নজরদারিও । কার্যত নজরদারির ফাঁক গলে দিনের পর দিন এই শ্মশানে উপযুক্ত নথিপত্র ছাড়াই চলছে মৃতদেহ সৎকার । নথিভুক্ত করার লোক নেই শ্মশানে (North 24 parganas news)। তাই কে কখন মৃতদেহ নিয়ে সেখানে যাচ্ছে, দাহকার্য করে চলে যাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার প্রশ্নই আসে না ! চিকিৎসকের শংসাপত্র খতিয়ে দেখা তো দূর অস্ত । ফলে কেউ কোনও অপরাধ করে দেহ শ্মশানে পুড়িয়ে দিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে । বিশেষ করে নদিয়ার হাঁসখালিকাণ্ডের পর সেই আশঙ্কা আরও বেশি করে দানা বেঁধেছে (no records are taken of dead bodies at hingalganj cremation ground)৷
হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুর পঞ্চায়েত এলাকার গৌড়েশ্বর নদীর চরে গড়ে ওঠা এই শ্মশানটি দীর্ঘদিনের । বহুদিন ধরেই এই নিয়মে সেখানে দাহকার্য চলে আসছে বলে অভিযোগ । পঞ্চায়েত এলাকায় কারও মৃত্যু হলে তাঁদের পরিবারের লোকজনই শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে সৎকারের সমস্ত বন্দোবস্ত করেন । কোনও মৃত্যু নিয়ে যদি রহস্য দানা বাঁধে, কেবলমাত্র তখনই থানায় অভিযোগ দায়ের হয় । তার আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা পুলিশ প্রশাসন আগ বাড়িয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করে না বলেও অভিযোগ উঠেছে । ফলে শ্মশানে কার দেহ আসছে, তাঁর কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে না দেখেই পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মৃতদেহ । যা নিয়ে নজরদারির ফাঁকফোকর থেকেই যাচ্ছে ।
আরও পড়ুন:Hanskhali Rape : শোকে খাওয়া বন্ধ, হাসপাতালে হাঁসখালি ধর্ষণে মৃত নাবালিকার বাবা-মা
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, "মৃত্যু নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে তখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সেটা খতিয়ে দেখা পুলিশ প্রশাসনের কাজ । নজরদারির অভাবে সেটাই যদি ফাঁক থেকে যায়, তাহলে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে । তখন মৃত্যুর প্রকৃত কারণও সামনে আসবে না । কেউ অপরাধ করে থাকলে সহজেই পার পেয়ে যাতে পারে । সে ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণের অভাবে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ন্যায়বিচার ৷"