বাদুড়িয়া, 28 জুলাই: শ্রীনগরে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক CRPF জওয়ানের । মৃতের নাম পিন্টু মণ্ডল (47)। তাঁর বাড়ি উত্তর 24 পরগনার বাদুড়িয়ার কুলিয়া গ্রামে । মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সহকর্মীরা পিন্টুকে খুন করেছে।
শ্রীনগরে CRPF জওয়ানের মৃত্যু, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা - উত্তর 24 পরগনার খবর
শ্রীনগরে কর্মরত এক CRPF জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে । মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা । পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে ।
পিন্টু CRPF-এর কনস্টেবল পদে কাজ করতেন । তাঁর পোস্টিং ছিল শ্রীনগরে । গতকাল স্ত্রী রেবা মণ্ডল তাঁর মৃত্যুর খবর পান । জানানো হয়, পিন্টুর কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়েছিল । এরপরেই হতাশায় আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি । কিন্তু রবিবার রাতেও স্ত্রীর সঙ্গে পিন্টুর ভিডিয়ো কলে কথা হয় । ঠিক পরের দিন অর্থাৎ গতকাল সকালে ন'ঘণ্টার মধ্যে তাঁর মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছায় । গতকাল সন্ধেয় পুলিশ ও CRPF-এর কয়েকজন আধিকারিক পিন্টুর বাড়িতে আসেন । তাঁরা জানান, কোরোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসায় হতাশা ও আতঙ্কে পিন্টু সার্ভিস রিভলবারের গুলিতে আত্মঘাতী হয়েছেন । মৃতদেহের ছবি দেখানো হয় । ছবিতে মাথার পিছনে গুলির আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে । পরিবারের অভিযোগ, পিছন থেকে পিন্টুর মাথায় গুলি করে খুন করেছে সহকর্মীরা । চার সহকর্মীর নামও তুলেছেন পিন্টুর স্ত্রী । ঘটনার তদন্ত চায় পরিবার ।
পরিবারের অভিযোগ, কোরোনার অজুহাত দেখানো হচ্ছে । কোরোনার কারণে নিজে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলে মাথার পিছনে গুলি লাগে কী করে ? স্ত্রী রেবা মণ্ডল জানিয়েছেন, পিন্টুর সহকর্মী সুরজিৎ সিং, জয় চন্দন, সলমান মুখরামরা পরিকল্পনা করে গুলি করে খুন করেছে পিন্টুকে । বাড়ির সঙ্গে শেষবার যখন কথা হয়, এই শত্রুতার কথা ও সহকর্মীদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি । একমাস আগে পিন্টুর বাড়ি আসার কথা ছিল । কিন্তু লকডাউনে বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে তিনি বাড়ি আসতে পারেননি । ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইছে পরিবার । তাঁরা মৃতদেহ বাড়িতে পাঠানোর দাবিও করেছেন ।