বারাসত, 3 জুন : কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে কি না হয় ! ইচ্ছাশক্তির কাছে দারিদ্রতা যে কখনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, সেটাই বুঝিয়ে দিল বারাসতের বিপাশা বোস। আর্থিক প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় 651 নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল এই মেধাবী ছাত্রী (Meritorious student of Madhyamik wants to be wbcs officer)। তার এই ফলাফলে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত পরিবারের লোকেরা।
ভবিষ্যতে ডব্লিউ বিসিএস অফিসার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় বিপাশা। সেই সঙ্গে ইউপিএসসি-র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাতেও বসার ইচ্ছে রয়েছে তার। তবে এত ভাল রেজাল্ট হওয়ার পিছনে বাবা-মার কৃতিত্বের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষিকাদের অবদানের কথা উল্লেখ করতে ভোলেনি সে ৷
উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতের বনমালিপুরে বাড়ি বিপাশার। বাবা বিষ্ণু বোস বিএসএনএলের অস্থায়ী ঠিকাকর্মী। মা গৃহবধূ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী বিষ্ণু বাবু ৷ তাঁর কাজও জোটে না ঠিকমতো। মাসের 15 দিন কাজ থাকলে বাকি 15 দিন কাজ ছাড়াই বসে থাকতে হয় বাড়িতে। সামান্য আয়ে পরিবারের তিনজনের সংসার চলে কোনওরকমে। যেখানে অভাব-অনটন স্পষ্ট, সেখানে মেয়ের পড়াশোনার খরচ সামলানো দম্পতির কাছে ছিল অলীক স্বপ্নের মতো। পরিবারে আর্থিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাশক্তির কাছে কার্যত হার মেনেছে দম্পতির একমাত্র মেয়ে বিপাশার অদম্য জেদ। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে সেটাই যেন বুঝিয়ে দিয়েছে সে।
আরও পড়ুন :কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায় মাধ্যমিকে কলকাতায় প্রথম শ্রুতর্ষি ত্রিপাঠি