পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বারাসতে বস্তি এলাকায় সংক্রমণ কম, আশাকর্মী-স্বাস্থ্যকর্মীদের কৃতিত্ব দিচ্ছে বাসিন্দারা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে দেশে ৷ দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে চার লাখের গণ্ডি পার করে ফেলেছিল ৷ এ রাজ্যেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল 20 হাজারে ৷ আশঙ্কা ছিল এই পরিস্থিতিতে ঝুপড়ি, বস্তি ও ঘিঞ্জি জনবসতি এলাকায় হু হু করে ছড়াবে সংক্রমণ ৷

By

Published : Jun 6, 2021, 10:08 AM IST

Less corona infection
Less corona infection

বারাসত, 6 জুন : একচিলতে ঘরে দশজনের বাস ৷ ঘরের গায়ে ঘর ৷ পাড়ার পুকুর ব্যবহার করে এলাকার বিশটা পরিবার ৷ এমন ঘিঞ্জি বস্তি এলাকাগুলি যেন করোনার আঁতুড়ঘর ৷ কিন্তু ভাবতে অবাক লাগলেও উত্তর 24 পরগনার বারাসতের বস্তি এলাকাগুলিতে করোনা সংক্রমণ বেশ কম ৷ অন্তত পাকাবাড়ি এবং অভিজাত আবাসনগুলির তুলনায় ৷ এমনই তথ্য মিলেছে চিকিৎসক এবং বারাসত পৌরসভার তরফে ৷

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে দেশে ৷ দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে চার লাখের গণ্ডি পার করে ফেলেছিল ৷ এ রাজ্যেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল 20 হাজারে ৷ আশঙ্কা ছিল এই পরিস্থিতিতে ঝুপড়ি, বস্তি ও ঘিঞ্জি জনবসতি এলাকায় হু হু করে ছড়াবে সংক্রমণ ৷ কিন্তু বাস্তবে হল উল্টোটা ৷ বস্তি এলাকার চেয়ে শহরের অভিজাত আবাসনে সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে ৷ বারাসত পৌরসভা এলাকায় বেশ কয়েকটি বস্তি রয়েছে ৷ জেলার হিসেব ধরলে তা কয়েকশো । আর এইসব এলাকায় সংক্রমণ শহুরে আবাসনের থেকে কম ৷ উত্তর 24 পরগনার জেলার কোভিড ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল মনিটরিং কমিটির জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটর হলেন চিকিৎসক বিবর্তন সাহা ।

আশাকর্মীদের চেষ্টায় বস্তি এলাকায় কমেছে করোনা সংক্রমণ

তিনি বলেন, বস্তি, ঘিঞ্জি এলাকায় পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীরা নিরন্তর যাতায়াত করছেন ৷ বস্তির মানুষরা আক্রান্ত হলে পৌরসভা নিজের উদ্যোগে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করাচ্ছে ৷ নয়ত তাদের সেফ হোমে রাখা হচ্ছে ৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সন্দেহজনক করোনা সংক্রমিতদের খুঁজে বের করছেন আশাকর্মীরা ৷ সংক্রমণ ধরা পড়লে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের নিয়ে যাওয়া, নিয়মিত স্বাস্থ্যের খবর নেওয়ার কাজ করে গিয়েছেন তাঁরা ৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ এবং করোনা সংক্রমণ নিয়ে সচেতন করছেন ৷ তাঁদের নিরন্তর পরিশ্রমের ফলে সংক্রমণ ততটা ছড়াতে পারেনি ৷

আরও পড়ুন : কালিম্পংয়ে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচা

অন্যদিকে অভিজাত আবাসনে আশাকর্মীদের ততটা যাতায়াত নেই ৷ সেখানকার বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ৷ অনেকে হাসপাতালে না গিয়ে হোম আইসোলেশনে থাকছেন ৷ করোনা স্বাস্থ্যবিধি অনেক সময় মেনে চলছেন না বলে অভিযোগ ৷ ফলে আবাসনগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে ৷ চিকিৎসক বিবর্তন সাহা বলেছেন, শহুরে এলাকার মানুষের মধ্যে অসুখ চেপে রাখার একটা প্রবণতা রয়েছে । যার ফলে অভিজাত আবাসনে আশা কর্মীদের ডোর ডু ডোর ভিজিট কাজে লাগেনি ৷

বস্তি এলাকার বাসিন্দারাও প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য ও আশাকর্মীদের তৎপরতায় যথেষ্ট খুশি । চিকিৎসা থেকে প্রয়োজনীয় সব কিছুতেই তাঁদের সহযোগিতা মিলছে বলে জানিয়েছেন বস্তি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details