বারাসত, 6 জুন : একচিলতে ঘরে দশজনের বাস ৷ ঘরের গায়ে ঘর ৷ পাড়ার পুকুর ব্যবহার করে এলাকার বিশটা পরিবার ৷ এমন ঘিঞ্জি বস্তি এলাকাগুলি যেন করোনার আঁতুড়ঘর ৷ কিন্তু ভাবতে অবাক লাগলেও উত্তর 24 পরগনার বারাসতের বস্তি এলাকাগুলিতে করোনা সংক্রমণ বেশ কম ৷ অন্তত পাকাবাড়ি এবং অভিজাত আবাসনগুলির তুলনায় ৷ এমনই তথ্য মিলেছে চিকিৎসক এবং বারাসত পৌরসভার তরফে ৷
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে দেশে ৷ দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে চার লাখের গণ্ডি পার করে ফেলেছিল ৷ এ রাজ্যেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল 20 হাজারে ৷ আশঙ্কা ছিল এই পরিস্থিতিতে ঝুপড়ি, বস্তি ও ঘিঞ্জি জনবসতি এলাকায় হু হু করে ছড়াবে সংক্রমণ ৷ কিন্তু বাস্তবে হল উল্টোটা ৷ বস্তি এলাকার চেয়ে শহরের অভিজাত আবাসনে সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে ৷ বারাসত পৌরসভা এলাকায় বেশ কয়েকটি বস্তি রয়েছে ৷ জেলার হিসেব ধরলে তা কয়েকশো । আর এইসব এলাকায় সংক্রমণ শহুরে আবাসনের থেকে কম ৷ উত্তর 24 পরগনার জেলার কোভিড ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল মনিটরিং কমিটির জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটর হলেন চিকিৎসক বিবর্তন সাহা ।
তিনি বলেন, বস্তি, ঘিঞ্জি এলাকায় পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীরা নিরন্তর যাতায়াত করছেন ৷ বস্তির মানুষরা আক্রান্ত হলে পৌরসভা নিজের উদ্যোগে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করাচ্ছে ৷ নয়ত তাদের সেফ হোমে রাখা হচ্ছে ৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সন্দেহজনক করোনা সংক্রমিতদের খুঁজে বের করছেন আশাকর্মীরা ৷ সংক্রমণ ধরা পড়লে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের নিয়ে যাওয়া, নিয়মিত স্বাস্থ্যের খবর নেওয়ার কাজ করে গিয়েছেন তাঁরা ৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ এবং করোনা সংক্রমণ নিয়ে সচেতন করছেন ৷ তাঁদের নিরন্তর পরিশ্রমের ফলে সংক্রমণ ততটা ছড়াতে পারেনি ৷