পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

মুকুল-মানসদের উদ্দেশ্য ছিল ভোট কেনাবেচা ও তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তারি : জ্যোতিপ্রিয় - nagerbazar

গেস্ট হাউজ়ের বাইরে থেকে পাওয়া গেছে মানস মুখার্জির স্বাক্ষর করা খাম । তাতেই রয়েছে টাকা লেনদেন থেকে শুরু করে কাকে গ্রেপ্তার করাতে হবে তার সব তথ্য । আজ এমনটাই দাবি করলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ।

নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

By

Published : May 18, 2019, 7:05 PM IST

Updated : May 18, 2019, 11:05 PM IST

বারাসত, 18 মে : বৃহস্পতিবার নাগেরবাজারের ওই গেস্ট হাউজ়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে ছিলেন কামারহাটির CPI(M) বিধায়ক মানস মুখার্জিও । দাবি করলেন উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । আজ মধ্যমগ্রামে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযোগ করেন, BJP ও CPI(M) একজোট হয়ে উত্তর 24 পরগনায় ভোট করছে । টাকার বিনিময়ে ভোট কিনতেই সেদিন না কি গেস্ট হাউজ়ে গিয়েছিলেন মানস মুখার্জি, মুকুল রায়রা । মানস মুখার্জি যে ওই গেস্ট হাউজ়ে উপস্থিত ছিলেন তার প্রমাণ তাঁর হাতে রয়েছে । একটি খাম না কি উদ্ধার হয়েছে । সেই খামে মানস মুখার্জির সই রয়েছে । কোন তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের গ্রেপ্তার করাতে হবে তার তালিকাও না কি আছে ।

কোথা থেকে সেই খাম পেলেন ? জ্যোতিপ্রিয় বলেন, "বৃহস্পতিবারের ঘটনা নিয়ে আমরা একটা তথ্য পেয়েছি । কামারহাটির CPI(M) বিধায়ক মানস মুখার্জির স্বাক্ষর করা গোপন একটি খাম রাস্তায় পড়েছিল । এক দোকানদার সেটা তুলে নিজের কাছে রেখেছিলেন । গতকাল তিনি সেটি আমাদের হাতে দিয়েছেন । এটাই প্রকৃত সত্য । যা মানুষের জানা দরকার ।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

কী আছে খামে ? জ্যোতিপ্রিয় বলেন "সেখানে লেখা আছে উত্তর দমদম ও দক্ষিণ দমদমে পুলিশকে দিয়ে কাকে গ্রেপ্তার করাতে হবে । নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও লিখেছে । উনি মুকুলবাবুকে বলেছেন এদেরকে গ্রেপ্তার করালে নির্বাচনটা ঠিক মতো হবে । দ্বিতীয় হচ্ছে টাকার বিনিয়োগ । কোন বিধানসভায় উনি কত টাকা দিয়েছেন তার তথ্য রয়েছে । CPI(M) জিততে না পারলে ভোট শিফট করানোর জন্য মুকুলবাবু টাকাগুলো হ্যান্ডওভার করেছে । CPI(M) নিয়েছে মুকুলবাবু ও শমিকবাবুর কাছ থেকে । আর CPI(M) দিয়েছে কামারহাটির আমাদের যত ছেলে আছে 1 থেকে 50 তাঁদের নামের লিস্ট করে । সৌগত রায়ের যতগুলো বিধানসভা আছে তা ধরে ধরে লিস্ট করা আছে । গোপন তালিকা ছিল । আমরা পেয়ে গেছি । সুতরাং প্রথম থেকে আমরা যে কথা বলছিলাম, তাতেই আমরা স্ট্যান্ড । ওখানে টাকা লেনদেন হচ্ছিল ভোট শিফট করার জন্য । একটা ভোটও শিফট করার ক্ষমতা নেই । পল্টু দাশগুপ্ত মরচে পড়া মাল । মানসবাবু নিজেও বুঝতে পারছেন বেলঘরিয়ার একটা কী দুটো সিটে তাঁর ক্ষমতা সীমিত হয়ে গেছে । নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি । কিন্তু কমিশন চুপ । অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো বসে আছে তারা ।"

আজ দুপুরে নাগেরবাজারের ঘটনার সমস্ত তথ্য তুলে ধরতে জেলা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক, নির্মল ঘোষ ও ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী ছিলেন । তাঁরা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক ও জেলাশাসক অন্তরা আচার্যের হাতে সেই সমস্ত তথ্য তুলে দেন ।

এবিষয়ে CPI(M) বিধায়ক মানস মুখার্জির সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চিঠির কথা স্বীকার করে বিস্ময় প্রকাশ করেন । বলেন, "আমরা কিছুদিন আগেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের আশঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছিলাম । সেই চিঠি বাইরে আসল কীভাবে? আর তা কীভাবে তৃণমূল নেতাদের হাতে গেল? আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এব‍্যাপারে চিঠি দিয়ে জানতে চাইব । পাশাপাশি তিনি জ্যোতিপ্রিয়র তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেন । বলেন, "এর বিরুদ্ধে আমরা মানহানির মামলা করব । এবার দেখা হবে আদালতেই ।"

Last Updated : May 18, 2019, 11:05 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details