হাবরা, ৩ মার্চ : নেই কোনও অফিসঘর। নেই মৃতদেহের নথি সংরক্ষণের ব্যবস্থা। তারই মধ্যে উদ্বোধন হল পদ্মাবতী মহাশ্মশান। গতকাল এই শ্মশানের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
গতকাল হাবরার ১ নম্বর ব্লকের পৃথীবা পঞ্চায়েত এলাকায় একটি সরকারি পরিষেবা বিলির কর্মসূচি ছিল। পঞ্চায়েত অফিসের কাছেই একটি মাঠে ওই কর্মসূচির জন্য মঞ্চ তৈরি করা হয়। ওই মঞ্চ থেকেই কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতাভুক্ত চাষিদের চেক দেওয়া হয়। সঙ্গে উদ্বোধন করা হয় একটি পার্ক ও পদ্মাবতী মহাশ্মশানের। উদ্বোধনের পর ইনাডু বাংলার প্রতিনিধি যান ওই শ্মশানে। জানা যায় দু'বছর ধরে চলছে এই শ্মশান তৈরির কাজ। পাশাপাশি গতকাল যে ওই শ্মশানের উদ্বোধন হয়েছে, সেই সম্পর্কেও জানা নেই স্থানীয়দের। এরপরই ক্যামেরায় ধরা পড়ে অন্য দৃশ্য। ২৫ লাখ টাকা খরচ হলেও এখনও অসমাপ্ত শ্মশান নির্মাণের কাজ। নেই কোনও অফিসঘর। মৃতদেহের নথি সংরক্ষণ বা রেজিস্টারের কোনওরকম ব্যবস্থা নেই। ফলে গভীর রাতে কেউ মৃতদেহ দাহ করে চলে গেলে কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই। পাশাপাশি মৃতদেহ দাহ করার পর ঘাট সার্টিফিকেট কী ভাবে মিলবে সেই নিয়েও রয়েছে ধন্দ। তাই কার্যত সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়াতে উদ্বোধনের পর তড়িঘড়ি মঞ্চ ছাড়েন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার।