আড়িয়াদহ, 29 জুলাই: স্টাইল করে চুল কেটে স্কুলে এসেছিল 7 জন ছাত্র ৷ যা স্কুলের শৃঙ্খলা নষ্ট করছিল বলে মনে করেন প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদার ৷ তারপরেই বড় কাঁচি নিয়ে এসে ওই ছাত্রদের চুল কেটে ছোট করে দেন তিনি (head mistress punished students by cutting hair)৷ এমনটাই জানাচ্ছেন অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার দক্ষিণেশ্বরের আড়িয়াদহ কালাচাঁদ হাইস্কুলে ৷ যদিও এই ঘটনায় অন্যায় কিছু দেখছেন না স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৷
তবে ছাত্ররা অবশ্য অন্য কথা বলছে ৷ একজনের অভিযোগ, নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞানের ক্লাস চলাকালীন শিস দেয় কেউ ৷ কিন্তু কে দিয়েছে, তা জানতে চাইলে সবাই বলে আমি দিইনি ৷ এরপর সন্দেহবশত 7 জন ছাত্রকে প্রধান শিক্ষিকার ঘরে নিয়ে যান ক্লাসের ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষিকা ৷ সেখানে প্রধান শিক্ষিকা জানতে চাইলে জনৈক ছাত্র বলে টিসি দেওয়ার হলে দিন, তবুও বলব আমি করিনি ৷ এরপরই ওই ছাত্রের সঙ্গে অন্যদেরও ডেকে নিয়ে গিয়ে চুল কেটে দেন প্রধান শিক্ষিকা ৷
আরও পড়ুন :প্রাইভেটে পড়ালেই পেতে হবে শাস্তি ! সরকারি শিক্ষকদের কড়া বার্তা প্রশাসনের
এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে ওই 7 ছাত্র ৷ তাদের অভিভাবকরাও চিন্তিত এই নিয়ে ৷ তাঁদের দাবি, কান ধরে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখতে পারত, দু'ঘা মারতে পারত কিন্তু প্রধান শিক্ষিকার এভাবে চুল কেটে দেওয়ার কাজ মোটেই সমর্থনযোগ্য নয় ৷ এটা কোনও শাস্তি হতে পারে না ৷ আমার ছেলে বাইরে বেরোতে চাইছে না পাছে লোকে কিছু বলে সেই ভয়ে ৷ স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে ৷ ওর কিছু হয়ে গেলে কি প্রধান শিক্ষিকা তার দায় নেবেন ?