বারাসত, 10 অগস্ট: দোরগোড়ায় দেশের 75তম স্বাধীনতা দিবস ৷ বহু লড়াই-সংগ্রামের পর 1947 সালের 15 অগস্ট যে চারাগাছ মাথা তুলেছিল আজ তা 75 বছরের মহীরূহ ৷ কিন্তু, সেই চারাগাছে জল, আলো পৌঁছেছিলেন যাঁরা, তাঁরা কতটা সমাদৃত ?
স্বাধীনতা সংগ্রামী অমিয় দাশগুপ্ত'র পরিবার ! নিজেও বাবা-মার স্বাধীনতা সংগ্রামের আদর্শে বড় হয়ে উঠেছেন । একসময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাশিয়ান ভাষার অধ্যাপক হিসেবে চাকরি করেছেন । অবসর নিয়েছেন বছর ছয়েক আগে । কিন্তু,এখনও জোটেনি পেনশন-সহ চাকরি পরবর্তী অন্যান্য সুযোগসুবিধা । ফলে স্বাধীনতা সংগ্রামীর কৃতি মেয়ে সংঘমিত্রা দাশগুপ্তর বর্তমানে ঠাঁই হয়েছে বারাসতের এক বৃদ্ধাশ্রমে (Freedom fighters daughter Sanghamitra Das Gupta) ।
স্বাধীনতা সংগ্রামীর মেয়ের ঠাঁই হয়েছে বারাসতের এক বৃদ্ধাশ্রমে তবে মানবিক দিক থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীর অধ্যাপক মেয়ের পেনশনের বিষয়টি প্রশাসনের চিন্তাভাবনা করা উচিত ৷ এমনটাই মনে করেন স্কুল শিক্ষক দীপ্ত কুমার লস্কর। একজন অধ্যাপিকার পেনশন চালু করতে উদ্যোগ নেওয়া হল না কেন ? প্রশাসনই বা কেন হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে ? এই প্রশ্নই উঠছে বিভিন্ন মহলে ৷ যদিও আশ্বাসবাণী শোনালেন বারাসত পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপক দাশগুপ্ত ৷
আরও পড়ুন : নেতাজির লক্ষ্মী-মাস্টারদার প্রীতি, স্বাধীনতার ইতিহাসে রামায়ণের ঊর্মিলারা
পশুপ্রেমী হিসেবে পরিচিত সংঘমিত্রা পশুপাখিদের আহার এবং নিজের চিকিৎসার অর্থ জোগাতে গিয়ে পৈতৃক ভিটেমাটিও বিক্রি করার পথে হাঁটতে বাধ্য হন । ফলে নিঃস্ব হয়ে আজ তাঁকে আশ্রয় নিতে হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে । স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর উদযাপনে আলোর আশাতেই দিন কাটাচ্ছেন সংঘমিত্রা ৷