বারাসত, 3 সেপ্টেম্বর :জাল ফার্মাসিস্ট চক্রের পর্দা ফাঁস করলেন ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকরা ৷ হাতেনাতে ধরা হল চার ভুয়ো ফার্মাসিস্টকে ৷ পরে ধৃতদের বারাসত থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল বিষ্ণু সাহা, শুভঙ্কর দাস, প্রীতম কর্মকার এবং শুভজিৎ শর্মা ৷ ফার্মাসিস্টের চাকরি পাওয়ার জন্য জাল নথি জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধৃত চারজনের বিরুদ্ধে ৷ নথি দেখে সন্দেহ হওয়ায় বারাসতে জেলার ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে ডেকে পাঠানো হয় ওই চারজনকে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে একাধিক অসঙ্গতি ৷ এরপরই সন্দেহভাজনদের আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় বারাসত থানায় ৷ পুলিশ এসে চার ভুয়ো ফার্মাসিস্টকে গ্রেফতার করে ৷ ঘটনার পিছনে আর কারও হাত রয়েছে কিনা, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন :Fake IRS Arrest : এবার পুলিশের জালে ভুয়ো আইআরএস আধিকারিক, কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চার যুবকের মধ্যে তিনজনের বাড়ি মালদায় ৷ অপরজনের বাড়ি বীরভূমের বোলপুরে ৷ এরা মূলত ফার্মাসিস্টের চাকরিতে আবেদনপত্র জমা দিতে জাল নথিপত্র তৈরি করত বলে অভিযোগ ৷ সম্প্রতি উত্তর 24 পরগনার চারটি ওষুধের দোকানে ফার্মাসিস্টের কাজ পাওয়ার জন্য ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে ভুয়ো নথি জমা দেয় এই চারজন ৷ তারপরই সামনে আসে গোটা ঘটনা ৷
ফেক ফার্মাসিস্টদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা ৷ আরও পড়ুন :Fake vaccination : আসানসোল পৌরনিগমের নামে ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্রের ঠিকানা সোশ্যাল মিডিয়ায়
অজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্য নামে স্থানীয় এক ওষুধ ব্যবসায়ী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সোদপুরে আমার ওষুধের দোকান রয়েছে ৷ সেখানে ফার্মাসিস্ট থাকলেও আরও একজন নতুন ফার্মাসিস্টের প্রয়োজন ছিল ৷ সেই সময় একজনের সঙ্গে যোগাযোগ হয় ৷ সেই ব্য়ক্তিই ফার্মাসিস্টের চাকরির জন্য জাল নথিপত্র জমা দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের অফিসে ৷ আরও তিনজন ভুয়ো নথি জমা দিয়েছিল ৷ তাদের প্রত্যেককে হাতেনাতে ধরেছেন ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকরা ৷ এই ধরনের ভুয়ো ফার্মাসিস্টদের খুঁজে বের করা দরকার ৷ তা না হলে আমাদের মতো ছোট ওষুধ ব্যবসায়ীদের সমস্যা বাড়বে ৷’’