গোবরডাঙা, 28 অগাস্ট : রোগী না দেখায় চিকিৎসকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল পরিজনদের বিরুদ্ধে ৷ উত্তর 24 পরগনার গোবরডাঙার ঘটনা ৷
বুধবার রাতে স্থানীয় এক আড়াই বছরের শিশুর নাকে শোলার টুকরো ঢুকে যায় । শিশুটিকে নিয়ে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা চিকিৎসক নারায়ণচন্দ্র করের বাড়ি যান ৷ অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ৷ বাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছোড়া হয় । বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে দেয় ৷ চিকিৎসকের সাইনবোর্ডও নষ্ট করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷
নারায়ণচন্দ্রবাবু গোবরডাঙা পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ৷ পাশাপাশি বাড়িতে মাঝেমধ্যে রোগী দেখেন ৷ জানান, ঘটনার দিন রাতে বাড়ি ফিরে খাওয়া-দাওয়া করে আগেই শুয়ে পড়েছিলেন ৷ আনুমানিক রাত সাড়ে 11টা নাগাদ স্থানীয় কয়েকজন তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় । ইট, পাটকেল ছুড়তে শুরু করে । বলেন, "চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী বাইরে বের হন ৷ দেখেন বাড়ির সামনে লোকজন জটলা করেছে । একটা বাচ্চা মেয়ের নাকে কিছু একটা ঢুকেছে । আমার স্ত্রী তাদের জানান যে আমার শরীর খারাপ । আমি ঘুমোচ্ছি । কিন্তু তারা শোনেনি । আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় । আসলে স্থানীয় কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য দীর্ঘক্ষণ ভিডিয়ো কনফারেন্স করে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । আমার বাড়িতে রোগী দেখার ব্যবস্থা নেই । বাচ্চা মেয়ের নাকে আটকে থাকা জিনিস বের করার যন্ত্রপাতি চেম্বারে ছিল । কিন্তু তারা শোনেনি । ভাঙচুর চালিয়েছে ৷ পরে ওই শিশুকে রাতেই পরিবারের লোকজন বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে তার নাকে আটকে থাকা শোলার টুকরো বের করা হয়েছে ৷"
শিশুর পরিবারের বক্তব্য, পুলিশ ও চিকিৎসকদের রাত বা দিন বলে কিছু নেই । সমস্যায় পড়েই তারা চিকিৎসকের কাছে গেছিল । কিন্তু তিনি তো আসেননি । তার উপর তাঁর স্ত্রীও খারাপ ব্যবহার করেছেন । স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাতে কোনও সমস্যা হলে স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য ওই চিকিৎসকের কাছেই যায় ৷ অভিযোগ, নারায়ণবাবুর স্ত্রী রোগীর পরিবারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন । বুধবার রাতেও তেমন ঘটনা ঘটেছে । তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসকের বাড়ি লক্ষ্য করে রোগীর পরিজনরা ইট-পাটকেল ছুড়েছে ।
ঘটনায় গতকাল সকালে নারায়ণচন্দ্রবাবু পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে ।