পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

করোনায় মৃত্য়ু প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর, 12 ঘণ্টা দেহ পড়ে বাড়িতেই - করোনায় মৃত্য়ু প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর

করোনায় মৃত্য়ু হয় এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর ৷ পরিবারের অভিযোগ, মৃত্য়ুর পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও ওই বৃদ্ধের দেহ নিয়ে যেতে আসেনি প্রশাসনের কেউ ৷ উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটার ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের ৷

WB_CORONA_BODY_NOT_FUNERAL_VIZ1_WBC10017
করোনায় মৃত্য়ু প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাড়িতেই দেহ

By

Published : Apr 24, 2021, 8:33 PM IST

গাইঘাটা, 24 এপ্রিল : করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর ৷ 12 ঘন্টা কেটে গেলেও বাড়িতেই পড়ে থাকল তাঁর দেহ। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি পরিবারের ৷ মৃত ব্যক্তির নাম দুলালচন্দ্র মজুমদার (79) ৷ কলকাতা পুলিশের অফিসার পদে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি ৷ উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটার চাঁদপাড়া-ঢাকুরিয়া ঘটনা।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুলাল ও তাঁর স্ত্রী জ্বর, সর্দি ও কাশির সমস্যা ছিল ৷ গত সোমবার বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে লালারসের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য দেন তাঁরা ৷ শুক্রবার দুলালচন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী অর্চনা মজুমদারের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷ বাড়িতেই তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয় ৷ কিন্তু রাতে দুলালবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে ৷

পরিবারের দাবি, তাঁরা ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য একাধিক জায়গায় যোগাযোগ করেন ৷ কিন্তু কেউ তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি ৷ অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ফোন করা হলে অ্যাম্বুল্য়ান্স পরিষেবার জন্য তাঁদের কাছে 10 হাজার টাকা চাওয়া হয় ৷ তবে পরিবার টাকা দিতে রাজি থাকলেও শেষমেশ দুলালবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি ৷ পরে ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর ৷

পরিবারের অভিযোগ, প্রশাসনকে করোনা আক্রান্তের মৃত্য়ুর খবর জানানো হলেও দেহ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শুরু হয় গড়িমসি ৷ শনিবার বিকেল চারটে পর্যন্ত মৃত্যুর প্রায় 12 ঘণ্টা পরও দেহ নিতে আসেনি কেউ ৷ করা হয়নি দেহ সৎকারের ব্যবস্থাও ৷

অন্যদিকে, দুলালবাবুর স্ত্রী অর্চনাও করোনা আক্রান্ত ৷ ছেলে ও বউমা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করলেও সেখানেও তাঁদের বেগ পেতে হয় ৷

আরও পড়ুন :করোনা আক্রান্ত দেবশ্রী চৌধুরী, রয়েছে মৃদু উপসর্গ

এই বিষয়ে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গোবিন্দ দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে ৷ শববাহী গাড়িটি কন্ট্রোল করেন এসডিও এবং বিডিও ৷ আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু যেহেতু করোনা আক্রান্তের দেহ, তাই রাতের আগে দেহ তোলা যাবে না ৷’’

এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, গাইঘাটা এলাকার করোনায় আক্রান্তদের দেহ বনগাঁ শ্মশানে দাহ করা হয় ৷ সারাদিন সেখানে অন্যান্য দেহও দাহ করা হয় ৷ সেই কারণেই করোনায় আক্রান্তদের মৃতদেহ রাতের একটি নির্দিষ্ট সময় বনগাঁ শ্মশান দাহ করা হয় ৷ দেহ দাহ করার পরে শ্মশান এলাকা স্যানিটাইজ্ড করে দেওয়া হয় ৷ সংক্রমণ রুখতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details