আলিপুরদুয়ার, ১০ মার্চ : মায়ের চোখের সামনেই ঘরের মধ্যে আগুনে পুড়ে মারা গেল নাবালক। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের গাঙ্গুটিয়া খাস বস্তিতে।
'ভুল' খবরে পথ হারাল দমকল, মায়ের সামনে আগুনে পুড়ল নাবালক - alipurduar
হাসিমারা দমকল আধিকারিক ভাস্কর রায় বলেন, "খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দমকলের ইঞ্জিন বেরিয়ে পড়েছিল। তবে আমাদের কাছে খবর এসেছিল রায়মাটাং খাস বস্তিতে আগুন লেগেছে। কিন্তু ওখানে গিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। অনেক পরে খবর আসে গাঙ্গুটিয়া খাস বস্তিতে আগুন লেগেছে। আমাদের ইঞ্জিন যখন পৌঁছায় তখন দেখি গ্ৰামবাসীরা নিজেরাই আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা আমরা খতিয়ে দেখছি।"
গতরাতে হঠাৎই আগুন লেগে যায় গাঙ্গুটিয়া চা বাগানের শ্রমিক রজনি টোপ্পোর বাড়িতে। ওই সময় রজনির ছয় বছরের পুত্র রাজ ঘরেই ছিল। রজনি বলেন, "আমি রাজকে ঘরে রেখে পাশের বাড়িতে গেছিলাম। হঠাৎ দেখি ঘরে আগুন লেগে গেছে। দাউদাউ করে জ্বলছে কাঠের ঘর। আমি ছুটে ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুরো ঘরটাই গ্রাস করে আগুন। ঘরের ভিতর থেকে ছেলের চিৎকার শুনতে পাই।" তারপরে কী হয়েছে ? সেটা অবশ্য জানা নেই রজনির। কারণ তিনি ছেলের চিৎকার শুনেই সংজ্ঞা হারান।
স্থানীয়রা ঘটনাস্থানে ছুটে আসে। আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দমকলেও খবর দেওয়া হয়। কিন্তু পথ ভুল করায় হ্যামিল্টনগঞ্জ দমকলের আসতে বেশ খানিকটা দেরি হয়। হাসিমারা দমকল আধিকারিক ভাস্কর রায় বলেন, "খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দমকলের ইঞ্জিন বেরিয়ে পড়েছিল। তবে আমাদের কাছে খবর এসেছিল রায়মাটাং খাস বস্তিতে আগুন লেগেছে। কিন্তু ওখানে গিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। অনেক পরে খবর আসে গাঙ্গুটিয়া খাস বস্তিতে আগুন লেগেছে। আমাদের ইঞ্জিন যখন পৌঁছায় তখন দেখি গ্ৰামবাসীরা নিজেরাই আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা আমরা খতিয়ে দেখছি।" পরে কালচিনি থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আজ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।