বনগাঁ , 20 জুন : মুকুল রায় দল ছাড়ার পর উত্তর 24 পরগনার গোবরডাঙ্গায় বড় ভাঙ্গন গেরুয়া শিবিরে। শনিবার রাতে গোবরডাঙ্গা পৌরসভার টাউনহলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন গোবরডাঙ্গা মহিলা মোর্চার সভাপতি এবং বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি-সহ 300 জন বিজেপি কর্মী। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বনগাঁ লোকসভার চেয়ারম্যান গোবিন্দ দাস ও গোবরডাঙ্গা পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধান সুভাষ দত্ত।
11 জুন তৃণমূলে ফিরেছেন সপুত্র মুকুল রায় ৷ ঠিক তারপরের দিনই অর্থাৎ 12 জুন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ইস্তফাপত্র জমা দেন বনগাঁর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি তপন সিনহা । তবে সেইসময় তিনি তৃণমূলে ফের যোগ দেবেন কিনা , সেবিষয়ে খোলসা করে কিছু বললেননি ৷ গতকাল গোবরডাঙ্গা টাউন হলে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন তপন সিনহা ও গোবরডাঙ্গা বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি শর্মিষ্ঠা বালা। তাঁদের সঙ্গে গোবরডাঙ্গা এলাকার 300 বিজেপি কর্মীও তৃণমূলে যোগ দেন।
তৃণমূলে যোগ তপন সিনহা সহ 300 বিজেপি কর্মীর যোগ দিয়ে তপন সিনহা বলেন, "দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথায় মুগ্ধ হয়ে রাজনৈতিক গুরু মুকুল রায়ের পথ অনুসরণ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম ৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে বুঝতে পারি ওখানে মানুষের কথা শোনার মতো কেউ নেই। শুধু নেতাদের কথাই শুনতে হবে। দলে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে তৃণমূলে ফিরে এলাম।"
আরও পড়ুন :ইলেকশন পিটিশনে শুভেন্দুকে প্যাঁচে ফেলতে পারবেন মমতা ?
অন্যদিকে শর্মিষ্ঠা বালা বলেন, "আমি দীর্ঘদিন গোবরডাঙ্গা মহিলা মোর্চার সভাপতি ছিলাম। সম্প্রতি গোবরডাঙ্গায় বিজেপির যে প্রেক্ষাপট, তাতে আমি কাজ করতে পারছিলাম না, আমাকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে আমি মুগ্ধ। সেই কারণে আমি তৃণমূলে যোগদান করি। কাজ করতে চাই, আশা করি এখানে জায়গা পাব।"
এবিষয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন," এই লোকগুলি একটা স্বার্থ নিয়ে এসেছিল। যেহেতু দল ক্ষমতায় আসেনি, তাই তাঁরা বুঝেছেন যে এখানে থেকে তাঁদের স্বার্থসিদ্ধি হবে না। সেইজন্য যেখানে তাঁদের স্বার্থসিদ্ধি হবে সেখানে চলে যাচ্ছেন।" পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন, " তৃণমূল কর্মীদের ভয় দেখিয়ে যোগদান করাচ্ছে এবং মাইকে কী বলতে হবে তা লিখে দিচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা।"