ময়না (পূর্ব মেদিনীপুর), 28 সেপ্টেম্বর:বাপের বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন গৃহবধূ শিখা হাইত (Woman tears father-in-law testicles)। কিন্তু নিষেধ করেন তাঁর স্বামী ৷ সেই নিয়ে বচসা সাংঘাতিক আকার নিল (Woman Takes Revenge)৷ রেগে লাল শিখা এক টানে ছিঁড়ে দিলেন শ্বশুরের অণ্ডকোষ ৷ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানার বাকচা গ্রামে । অভিযুক্ত বধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ আদালত তাঁকে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে (Jail custody)৷
গত সোমবার বাপের বাড়িতে মাংস রান্না হচ্ছে বলে খবর পান গৃহবধূ শিখা হাইত । স্বামীকে ফোন করে তিনি বাপের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি চাইলে স্বামী জানান বাপের বাড়ি যাওয়ার এখন প্রয়োজন নেই । তিনি মাংস কিনে আনবেন । কিন্তু বাপের বাড়ি যেতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শিখা । সেই সময়ে শ্বশুর বাড়ির লোকেদের উদ্দেশে কুকথা বলতে শুরু করেন তিনি ।
অভিযোগ, শ্বশুর তাঁকে এই ধরনের কথা বলতে নিষেধ করতে থাকেন । কিন্তু পুত্রবধূ নিষেধ মানেননি । তাই পাল্টা শ্বশুরও পুত্রবধূর সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন । চলে তীব্র বাদানুবাদ ৷ সেই সময়ই রেগে আগুন হয়ে যান বধূ ৷ তিনি রাগের চোটে এক টানে শ্বশুরের অণ্ডকোষ ছিঁড়ে নেন বলে অভিযোগ । শ্বশুর যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দরা ছুটে আসেন ৷ তাঁরাই শিখার শ্বশুরকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান । বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিত্সাধীন রয়েছেন তিনি । ঘটনার পর প্রতিবেশীরা গৃহবধূকে বেঁধে রাখলেও তিনি কোনওক্রমে বাঁধন খুলে বাপের বাড়ি পালান । পরে শাশুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । এরপর অভিযান চালিয়ে গৃহবধূকে গ্রেফতার করে ময়না থানার পুলিশ ।
মঙ্গলবার ধৃত গৃহবধূকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।