পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

জল ও বিদ্যুতের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ দিঘায়

আমফানের দাপটে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা । ফলে জলের অভাবও তৈরি হয় । জল ও বিদ্যুতের দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল । এমনকী , আমফানের পর এতদিন কেটে গেলেও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ আসেনি । দিঘার নন্দকুমারে সেই একই পরিস্থিতি ।

Digha
দিঘা

By

Published : Jun 6, 2020, 6:55 AM IST

ভূপতিনগর , 6 জুন : জল ও বিদ্যুতের দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ । দিঘা নন্দকুমার 116 বি জাতীয় সড়কে রাস্তার উপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করল গ্রামবাসীরা । আমফানের দাপটে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় আগেও অবরোধ-বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে । এবার আমফানের পর দুই সপ্তাহের বেশি কেটে গেলেও জল ও বিদ্যুৎ না আসায় গতকাল বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা ।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , বংশীধর এলাকায় কয়েকদিন আগে কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে । তারপর প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকাবাসীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় । এবং প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকা ঘিরে দেওয়া হয় । এমনকী , বাজার-হাটগুলি বন্ধ করে রাখা হয় । তারপর সুপার সাইক্লোন আমফানের দাপটে এলাকায় ব্যাপক হারে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । গত মাসে 20 মে আমফানের তাণ্ডবে এলাকায় আজ পর্যন্ত এখনও এলাকায় জল ও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ভুগছে । প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের । পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পুলিশ গিয়ে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে বিক্ষোভ তুলে দেন । রাস্তার উপর পড়ে থাকা কাঠের গুঁড়ি সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে আটকে থাকা যানজট মুক্ত করা হয় ।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন , "বংশীধর এলাকায় কয়েকদিন আগেই কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে । তারপর প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকার মানুষের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় । এবং প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকা ঘিরে দেওয়া হয় । তারপর আমফানের দাপটে এলাকায় ব্যাপকহারে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । কিন্তু এলাকায় এখনও পর্যন্ত জল ও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ভুগছে । প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি । প্রশাসনের পক্ষ থেকে খালি আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় নি । এমনকী, কোনও সরকারি সাহায্যও পাওয়া যায়নি । তাই বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ করেছিলাম । পুলিশ প্রশাসন এসে অবরোধ তুলে দেয় । "

ভূপতিনগর থানার OC দেবব্রত বেরা বলেন , "খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি । বিদ্যুৎ দপ্তরের লোকেরা গিয়ে কাজ শুরু করে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details