পাঁশকুড়া, ১৪ ফেব্রুয়ারি : "কেসটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে অসম পুলিশ। অসমের পুলিশ গট আপ গেম খেলছে, যাতে পশ্চিমবঙ্গে এটা কেউ ইশু না করতে পারে। পুলিশ একজনকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছে। তিনি কে তাঁর পরিচয়ও সবাই জেনে গেছে।" আজ ইদ্রিশের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে একথা বলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মৃতের পরিবারকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা, পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কুরবান শাহ,পাঁশকুড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সইদুল ইসলাম, তৃণমূল নেতা জইদুল ইসলাম সহ অন্যরা।
গতকাল দুপুরে ইদ্রিশের বাড়ি গিয়ে পরিবারের হাতে ২ লাখ টাকা তুলে দেন শুভেন্দুবাবু। এরপর তিনি বলেন, "আমরা প্রথম দিন থেকেই খুন হওয়া দুই শ্রমিকের পরিবারের পাশে আছি। অসমে NRC নিয়ে যে ঘৃণার সঞ্চার হয়েছে তার জেরেই এই ঘটনা। আমরা সবাই ভারতীয়। অসমও ভারতবর্ষের মধ্যে। অসমে যেতে গেলে তো আর ভিসা লাগে না। সেখানকার ঘৃণার পরিবেশের বলি হয়েছে পাঁশকুড়ার দুই গরিব মানুষ। আমরা মৃতের পরিবারকে পাঁশকুড়া থানায় FIR করতে বলেছি। ওখানে (অসমে) পুলিশ গট আপ গেম খেলছে যাতে বাংলা থেকে কেউ এই ঘটনাকে ইশু করতে না পারে। পুলিস ওখানে একজনকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছে। খুন করার আগে ওরা জানতে চেয়েছিল, কোথাকার লোক ও কী নাম? বাঙালি ও সংখ্যালঘু জানার পরই এই ঘটনা। একইভাবে মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা আফরাজ়ুলকে জয়পুরে খুন করা হয়েছিল। অসম পুলিশ আগেভাগে কেসটাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মৃতের স্ত্রীকে বিধবা ভাতা দেওয়া ছাড়াও বাড়ি তৈরি সহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে। মানবাধিকার কমিশন ও মাইনরিটি কমিশনেও অভিযোগ জানানো হবে।"