তমলুক, 14 মে: ইতিমধ্যে ট্রেনে ও কয়েক দফায় বাসে ভিনরাজ্য ও জেলা থেকে ঘরে ফিরেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 2 হাজার বাসিন্দা। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে তাঁদের 14 দিনের হোম কোয়ারানটিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তাঁরা বাড়ি ফিরে সেই নির্দেশিকা পালন করছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শনের কাজ শুরু করলেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক ও কর্মীরা।
ঘরে ফেরা শ্রমিকরা হোম কোয়ারানটিনে থাকছেন তো ? নজরদারি পূর্ব মেদিনীপুরে
গত কয়েক দিনে জেলায় ফিরেছেন অসংখ্য শ্রমিক। তাঁদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা হলেও ঘরে ফিরে তাঁরা হোম কোয়ারানটিনে থাকছেন কি না, তা দেখতে নজরদারি শুরু করল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ভিনরাজ্যে থেকে পরিজন সহ বহু পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেনে ও সড়কপথে জেলায় ফিরেছেন। এদের অনেককেই মেচেদা স্টেশন সংলগ্ন স্বাস্থ্য দপ্তরের সেন্টারে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। এছাড়াও জেলার চণ্ডিপুরের কোরোনা চিকিৎসাকেন্দ্রে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে, প্রাথমিকভাবে উপসর্গ না মেলায় প্রত্যেককেই হোম কোয়ারানটিনে থাকতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার ভেলোর থেকে একটি ট্রেনে 310 জন জেলায় ফিরছেন। সব মিলিয়ে ওই দিন জেলায় ফিরেছেন প্রায় 1 হাজার জন। তাঁদের মধ্যে 800 জনকে গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেচেদার কোয়ারানটিন সেন্টারে থার্মাল স্ক্রিনিং করানো হয়। এদিকে, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, চেন্নাই সহ আরও কয়েকটি রাজ্য থেকে গত কয়েক দিনে জেলায় ফিরেছেন 350 জন পরিযায়ী শ্রমিক। প্রত্যেককেই থার্মাল স্ক্রিনিং করানো হয়। পরে চণ্ডিপুরের কোরোনা চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া সোয়াবের নমুনা। সব ক্ষেত্রেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর শ্রমিকদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু, উপসর্গহীন সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এবার অন্য পদক্ষেপ নেওয়া হল। ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকরা 14 দিনের হোম কোয়ারানটিন মানছেন কি না তা যাচাই করতে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এলাকা পরিদর্শন শুরু হল। এছাড়া শ্রমিকদের বাড়ি গিয়ে আরেক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। অন্যদিকে ভিনরাজ্য আসা জেলার বাসিন্দাদের নিয়ে এলাকায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয়, সে কথা মাথায় রেখে প্রচারও চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ভিনরাজ্য ও জেলা থেকে আসা প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং ও শারীরিক পরীক্ষা যেমন হয়েছে, তেমনই তাঁদের ঠিকানা, নাম, ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি চালানো শুরু করেছেন।