কাঁথি, 31 মে : একদিকে করোনার বাড়বাড়ন্ত চলছে জেলাজুড়ে । অতিমারির সুযোগে কিছু অসাধু মানুষ নেমে পড়েছে টাকা লুটের নেশায় । পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁথির একটি বেসরকারি ল্যাবের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠল । টাকা নিয়ে একজনের রিপোর্ট অন্য একজনকে দেওয়া হল ৷
কাঁথির ওই ল্যাব মুম্বইয়ের একটি নামকরা বেসরকারি ল্যাবে নমুনা পাঠায় ৷ সেইমতো ওই মাইক্রো ল্যাবে গিয়ে এক ব্যক্তি নমুনা দেন ৷ কয়েকদিন পর তাঁর টেস্ট রিপোর্ট আসে ৷ কিন্তু ওই ব্যক্তি দেখেন তাঁর রিপোর্টে বারকোড নেই ৷ মাইক্রো ল্যাবে বিষয়টি জানালে বলে দেওয়া হয় সব ঠিক আছে ৷ সন্দেহ হওয়ায় রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি ৷ মুম্বইয়ের ল্যাবের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে জানতে পারেন তাঁর নামে কোনও পরীক্ষাই হয়নি ৷ পরে মাইক্রো ল্যাবের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয় যে, অন্য কোনও ব্যক্তির রিপোর্ট ওই ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে ৷ বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরকে ফোন মারফত জানান ওই ব্যক্তি ৷ স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলা হয় ৷ সেইমতো তিনি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ যদিও ল্যাব কর্তৃপক্ষ তরফে জানানো হয়েছে, তারা কোনওভাবে এমন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয় । নিয়ম মেনেই টেস্ট করা হচ্ছে ।