রামনগর (পূর্ব মেদিনীপুর), 12 নভেম্বর : আবারও শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে ব্য়ানার বিতর্ক ৷ এবার রামনগর বিধানসভার কাঁথি ও শহরতলি এলাকায় বেনামি একাধিক ব্য়ানার নজরে এল ৷ যেখানে লেখা ‘‘লড়াইয়ের মাটে দেখা হবে ৷ বাংলার যুবরাজ আমরা চলি সমুখপানে কে আমাদের বাঁধবে ৷’’ আর এই ব্য়ানারকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর ৷ সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বললেন জঙ্গলমহলে তাঁর বিপক্ষ শিবিরের বলে পরিচিত অখিল গিরি ৷ আর অখিল গিরির এই বক্তব্য়কে ঘিরে আবারও প্রকাশ্য়ে চলে এল তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ৷
সাহস থাকলে তৃণমূল ছেড়ে চলে যাক শুভেন্দু : অখিল গিরি
শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রাম দিবসের সভায় করা মন্তব্য়কে হাতিয়ার করে এই ব্য়ানার লেখা হয়েছে ৷ আর তাতেই তৃণমূলের একাংশের দাবি এ কাজ শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠদের করা ৷ এ নিয়ে রামনগর বিধানসভার বিধায়ক অখিল গিরি শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন ৷
শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রাম দিবসের সভায় করা মন্তব্য়কে হাতিয়ার করে এই ব্য়ানার লেখা হয়েছে ৷ আর তাতেই তৃণমূলের একাংশের দাবি এ কাজ শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠদের করা ৷ এ নিয়ে রামনগর বিধানসভার বিধায়ক অখিল গিরি শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন ৷ তিনি বলেন, কে কাঁদবে দেখা যাবে ৷ রাজনৈতিক ময়দানে যখন লড়ার কথা যখন বলেছেন, তখন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দুর লড়াই হবে বলে মন্তব্য় করেন অখিল গিরি ৷ এরপরই তাঁর হুঁশিয়ারি, শুভেন্দুর যদি সাহস থাকে, তবে তৃণমূল ছেড়ে চলে যাক ৷
তবে, ব্য়ানার নিয়ে অখিল গিরির এই বক্তব্য়ে বেশ চটেছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ৷ পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডা অখিল গিরির এই মন্তব্য়ের সমালোচনা করে বলেন, অখিল গিরি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে মনোনিবেশ করুক ৷ শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলার উনি কেউ নন ৷ তাঁকে নিয়ে বলার জন্য় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় রয়েছেন ৷ এরপরেই অখিল গিরিকে পালটা নিশানা করে কণিষ্ক পণ্ডা বলেন, রামনগর বিধানসভায় আগামী নির্বাচনে জিততে হলে অখিল গিরির শুভেন্দু অধিকারীর সাহায্য় লাগবে ৷ তা না হলে তিনি নিজের কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় হেরে যেতে পারেন ৷ প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম দিবসে জমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভায় তৃণমূলকে আমন্ত্রণ না জানানো এবং ওইদিনই তৃণমূলের পালটা সভা করা ৷ এই নিয়ে কার্যত শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের দূরত্ব অনেকটাই বেড়েছে ৷ এমনকী এক পক্ষ আরেক পক্ষকে নাম নিয়ে সরাসরি আক্রমণে পথে হেঁটেছে ৷ ফলে এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলে শুভেন্দু অধিকারীর ভবিষ্য়ৎ কী হবে তা সময় বলবে ৷