নন্দীগ্রাম, 2 জুন: দীর্ঘ পদযাত্রার পর জনসভা থেকে নাম না-করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কড়া আক্রমণ করেছিলেন বৃহস্পতিবার রাতে ৷ এর কয়েক ঘণ্টা পরেই নন্দীগ্রাম নিয়ে নিজের রাজনৈতিক আবেগ সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর কথায় নন্দীগ্রাম তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাখ্যান হয়ে রইল ৷ বিজেপির তরফে এই যাত্রা নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া হয় সেটাই এখন দেখার ৷
সামাজিক মাধ্যমে অভিষেক লেখেন, "ভুলব না কখনও এই নাম, আবেগের আরেক নাম নন্দীগ্রাম ৷ আমার রাজনৈতিক জীবনে মানুষের এইরকম স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই প্রথম ৷ এটাকেই বলে গণ সমাবেশ ৷" তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানে নন্দীগ্রামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ৷
রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ মনে করে, 2007 সালে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই বঙ্গে বাম জমানার অবসানের সূচনা হয়েছিল ৷ সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও ৷
2024 সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে ৷ এখন থেকেই রণকৌশল সাজাতে শুরু করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। এমন আবহে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই প্রসঙ্গে অভিষেক লেখেন, "2007 সালে এই নন্দীগ্রামের বুকেই বঙ্গ রাজনীতির পালাবদলের বীজ বপন হয়েছিল ৷ "আজ, কেন্দ্রের বিভাজনকারী শক্তিকে উচ্ছেদ করার হুংকার আমি এখান থেকেই করে গেলাম ৷"
নন্দীগ্রামের মানুষকে ধন্যবাদ জানান অভিষেক ৷ টুইটারে তিনি লেখেন, নন্দীগ্রামে জনজোয়ার তাঁর রাজনৈতিক জীবনে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় ৷ নিজেদের অধিকারের জন্য লড়ছে, এমন মানুষের পাশেই দাঁড়াবে তৃণমূল ৷ বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ না-করলেও তাঁকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ লেখেন, নন্দীগ্রাম বিভিন্ন ভাবে দেখিয়েছে, তৃণমূল স্তরের মানুষের প্রতি তাদের ভালোবাসা রয়েছে ৷ যাঁরা দিল্লির কাছে নিজেদের শিরদাঁড়া বিক্রি করে দিয়েছেন, তাঁদের জন্য নয় ৷ শেষে নন্দীগ্রামকে কৃতজ্ঞতা জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নন্দীগ্রামের মাটি দূষণমুক্ত করার দাবি অভিষেকের