বুদবুদ, ২৩ ফেব্রুয়ারি : পানাগড় সেনা ছাউনির জন্য জমি দখলে বাধা দিল গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার রঘুনাথপুর গ্রামের। গ্রামবাসীদের দাবি, সেনা জমি দখল করলে করুক কিন্তু তাদের সীমানার মধ্যে যে জমি পড়ছে তার সঙ্গে রয়েছে একটি কবরস্থান। সেই এলাকায় যাতে সবাই অবাধে যাতায়াত করতে পারে আগে তা সুনিশ্চিত করা হোক। এর জেরে আজ সকাল থেকেই প্রতিবাদে নামে গ্রামের মানুষ। আপাতত সেনাছাউনির জন্য প্রাচীর দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে।
আছে কবরস্থান; পানাগড় সেনা ছাউনির জন্য জমি দখলে বাধা গ্রামবাসীদের - westbengal
পানাগড় সেনা ছাউনির জন্য প্রাচীর দিতে গেলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হয় সেনাবাহিনী।
রঘুনাথপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষকের জমিসহ একটি কবরস্থানকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ করতে আসে সেনাবাহিনী। সেইসময় রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা এসে সেই কাজে বাধা দেয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, "কোনও জমি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করতে হলে আগে তার জন্য নোটিশ দিতে হয়। জমির দাম নির্ধারিত হয়। তারপর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই জমি ঘেরা হচ্ছিল। তাই বাধা দিয়েছে সকলে। আমরা কলকাতায় এই নিয়ে একবার সেনাকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল জেলাশাসকের মাধ্যমে আবেদন করতে।"
স্থানীয়দের কথায়, ওখানে একটি কবরস্থান রয়েছে। পাশেই কিছু চাষজমি রয়েছে। আর তার পাশেই সেনার জমি থাকায়, সেনাকর্মীরা সব জমি ঘিরতে আসে। এই বিষয়ে শেখ আতাউল হক নামে এক গ্রামবাসী বলেন, "জোর করে জমি নিলে আমরা সবাই এক হয়ে থাকব। তাতে যা হবার হবে। আমাদের একটিমাত্র জমি। এই জমির রেকর্ডও আছে। আমরা কাছে গেলেই তাড়িয়ে দিচ্ছে। নিজেদের জায়গায় ওরা কাজ করুক, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কাল কেউ মরে গেলে আমরা কোথায় আসব? আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এর একটি সুরাহা চাই।"
আজ সকাল থেকে এক জোট হয়ে প্রতিবাদে নামে গ্রামের মানুষ। প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় তারা। গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের জেরে আপাতত বন্ধ রয়েছে বাউন্ডারি দেওয়ার কাজ।