বর্ধমান, ২০ মার্চ: বর্ধমানের তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম অনুপ কুমার বিশ্বাস (৫৪)। বাড়ি হুগলি জেলার চণ্ডীতলা থানার চিকরন্ড গ্রামে। গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়। তিনি একজন ঠিকাদার বলে জানা গেছে। সোমবার বর্ধমানে টেন্ডার জমা দিতে গেছিলেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
মৃতের বাড়ির অভিযোগ, টেন্ডার নিয়ে বিবাদের জেরে তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় গামছা নিয়ে বের হননি। তাহলে তাঁর কাছে নতুন গামছা কোথা থেকে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পরিবারের তরফে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অনুপবাবু সোমবার রাতে তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি হোটেলের ঘর ভাড়া নেন। হোটেলের চারতলায় ছিল তাঁর ঘর। CCTV ফুটেজে দেখা গেছে তাঁর সঙ্গে অপর এক ব্যক্তিও সেই সময় ঘরে ঢুকেছিলেন। রাতের দিকে অনুপবাবু হোটেলে খাওয়াদাওয়া করেন। গতকাল সকালে হোটেলে চা খান। এরপরে তিনি হোটেল বয়কে জানিয়ে দেন রাতের খাবার বাইরে খাবেন। গতকাল বিকেল থেকে তাঁর ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। রাত পর্যন্ত তিনি দরজা না খোলায় বর্ধমান থানায় খবর দেওয়া হয়। বর্ধমান থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
মৃতের আত্মীয় মনোজ হালদারের অভিযোগ, অনুপবাবুকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, অনুপের পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না। টেন্ডার জমা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন বর্ধমানে। আজ তাঁরা হোটেলে গিয়ে জানতে পারেন হোটেলের ঘরে তিনি একা ছিলেন। অথচ হোটেলের CCTV ফুটেজে দ্বিতীয় এক ব্যক্তিকে তাঁর ঘরে ঢুকতে দেখা যায়। সেই বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষ চেপে গেছিল। পাশাপাশি পরিবারের আরও দাবি, অনুপবাবু যখন বাড়ি থেকে বের হন তখন তাঁর সঙ্গে নতুন কোনও গামছা ছিল না।
অনুপবাবুর পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল দুপুরের পর থেকে তাঁর মোবাইল সুইচড অফ ছিল। এরপর বর্ধমান থানার পুলিশ জানায় হোটেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।