বর্ধমানে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল , দলীয় নেতার বিরুদ্ধে সরব অপর নেতা
বর্ধমান শহরের 33 নং ওয়ার্ডের ষাঁড়খানা গলিতে একটা ক্লাব দখলকে নিয়ে দিনকয়েক আগে তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয় । বর্ধমান পৌরসভার প্রাক্তন MIC তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস বলেন , " যারা CPI(M) থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে এসে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে , তাদের মেরে হাত পা ভেঙে দেব । " এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল অপর তৃণমূল নেতা মহম্মদ সেলিম সরব হন ।
বর্ধমান , 28 নভেম্বর : "তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে যারা তৃণমূল কর্মীদের মেরে হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়, তারা ভিতরে ভিতরে BJP-র সঙ্গে আঁতাত করেছে । ওইসব নেতা থেকে দূরে থাকবেন । " নাম না করে তৃণমূল নেতা খোকন দাসকে মঞ্চ থেকে কটাক্ষ করলেন অপর তৃণমূল নেতা মহম্মদ সেলিম ।
গতকাল বর্ধমানে তৃণমূল যুব কংগ্রেস একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে । উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান পৌরসভার 6 নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিম । তিনি মঞ্চ থেকে বলেন, "পৌরসভার 33 নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের এক যুব নেতাকে মেরে হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এক তৃণমূল নেতা (খোকন দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ) । অথচ এই ধরনের ভাষা BJP-র নেতারা ব্যবহার করে থাকেন । ওই নেতা নিজেকে বর্ধমানের 'বাঘ' বলে মনে করেন । কিন্তু, তার শরীরে যখন শক্তি থাকে না, তখন সে ঘেউ ঘেউ শুরু করে । আসলে সে এখন আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে । "
দিনকয়েক আগে নিজের দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই তোপ দাগেন বর্ধমানের তৃণমূল নেতা খোকন দাস । প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন , " যারা CPI(M) থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে এসে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে , তাদের মেরে হাত পা ভেঙে দেব ।" যা নিয়ে দলের মধ্যেই বিতর্ক দেখা দেয় ।
বর্ধমান শহরের 33 নং ওয়ার্ডের ষাঁড়খানা গলিতে একটা ক্লাব দখলকে নিয়ে দিনকয়েক আগে ঝামেলা বাধে । অভিযোগ , ওই ক্লাবের দখল নেয় বর্ধমান পৌরসভার 33 নং ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মেহেরাজ খান । এর জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয় গোষ্ঠী কোন্দল । বিষয়টি কানে যায় বর্ধমান পৌরসভার প্রাক্তন MIC তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক খোকন দাসের ।