পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

BJP candidates homeless : বর্ধমানে ভয়ে ঘরছাড়া পৌরভোটে বিজেপির প্রার্থী, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

শাসকদলের ভয়ে বর্ধমানে বিজেপির প্রার্থী-সহ নেতা-কর্মীরা ঘরছাড়া। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে (BJP candidates homeless)।

homeless candidates
ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা

By

Published : Mar 11, 2022, 4:34 PM IST

বর্ধমান, ১২ মার্চ : ভোটপর্ব মিটলেও ঘরছাড়া রয়েছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। জেলা বিজেপি নেতৃত্বর অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পর বছর কেটে গেলেও বর্ধমানের বহু জায়গায় এখনও অনেক বিজেপি কর্মী বাড়ি ফিরতে পারেননি (BJP candidates homeless for fear)। সেই সঙ্গে পৌরভোটে প্রার্থী-সহ অনেক বিজেপি নেতা-কর্মী বাড়ি ঢুকতে পারছেন না বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

বিজেপির অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে অনেক বিজেপি কর্মী বাড়ি ছাড়া হওয়া সত্ত্বেও পৌরভোটের জন্য পথে নেমে দলের হয়ে প্রচার করেছিলেন। কেউ কেউ সাহস করে প্রার্থীও হয়েছিলেন ৷ কিন্তু পৌরভোটে রেজাল্টের পর তাঁদের ওপর হামলা করা শুরু হয়। বর্ধমান পৌরসভার ২৪ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন নবকুমার জোয়ারদার। তিনি এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া রয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল উঠেছে ২৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মানিক দাসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মানিক দাস তাঁর দলবল নিয়ে গিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা করে।

আরও পড়ুন :BJP Secret Meeting : বিজেপিতে বাড়ছে বিদ্রোহ, সাময়িক ‘বরখাস্ত’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে লকেট

২৪ নং ওয়ার্ডের বিজেপির প্রার্থী নবকুমার জোয়ারদার বলেন, "পশ্চিমবঙ্গজুড়ে যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই বাতাবরণে কিছু মানুষ ঘরের বাইরে রয়েছেন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের এখনও অনেকে নেতা-কর্মী ঘরছাড়া ৷ আমি পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করি। আমি প্রচারে বের হচ্ছিলাম তখন আমাকে নানারকম হুমকি দেওয়া হয়। এরপর মানিক দাসের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা করা হয়। ফলে ভয়ে আমি ঘরছাড়া হয়ে আছি।"

২৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর মানিক দাস বলেন, "বিজেপির ঘরছাড়া কেউ নেই। তাঁরা নিজেরাই ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। আর নবকুমার জোয়ারদার নিজে একজন দুষ্কৃতী। বিধানসভা ভোটের সময় তাঁর নেতৃত্বে কাঞ্চননগর এলাকায় কর্মীদের বাড়ি, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। তারপর থেকে সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরে তাঁকে বাড়ি ফেরানো হয়। বাড়ির সামনে পুলিশি প্রহরাও দেওয়া হয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি বাড়িতে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে অসামাজিক কাজকর্ম করে। যা নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই তাঁরা চাইছেন, নবকুমারের পরিবার সেখানে থাকলে আপত্তি নেই ৷ কিন্তু নবকুমার যাতে ওই এলাকায় না থাকে।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details