পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে বাস কর্মীরা যাচ্ছেন গুসকরাতে
লকডাউনের জন্য চলছে না বাস । তাই রোজগার না থাকায় বাসকর্মীদের পড়তে হচ্ছে অসুবিধার মুখে । ফলে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে বাইক নিয়ে ছুটতে হচ্ছে গুসকরাতে । সেখানে বাসমালিক ও ইউনিয়নের তরফে বাসকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে চাল ও আলু ।
গুসকরা, 31 মার্চ : চলছে লকডাউন । বন্ধ বাসের চাকা । ফলে রোজগার না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন গুসকরা, আউশগ্রাম, মঙ্গলকোটের বাসকর্মীরা । এমনিতেই সেখানকার রাস্তাঘাট বাজারহাট সেই অর্থে ঘিঞ্জি নয় । ভিড়ভাট্টা কম । লকডাউনের জেরে রাস্তাঘাট প্রায় সুনসান । এদিকে ওইসব কর্মীদের বাড়িতে বাড়ন্ত চাল, আলু । ফলে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে বাইক নিয়ে ছুটতে হচ্ছে গুসকরাতে । সেখানে বাসমালিক ও ইউনিয়নের তরফে বাসকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে চাল ও আলু।
লকডাউনের জেরে বন্ধ দোকানপাট । সবজি মুদিখানা বাজার খোলা থাকলেও হাতে টাকা পয়সা না থাকায় সংসারের বোঝা টানতে সমস্যায় পড়েছেন রাজু, সম্রাটরা । কেউ গুসকরা- বর্ধমান, কিংবা গুসকরা- কাটোয়া রুটের বাসের কর্মী । কাজে গেলেই মিলত মজুরি । ফলে 6 দিন ঘরে বসে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের । বাজারে গিয়ে চাল আলুর ব্যবস্থা করবে সেই সামর্থ্য ও ফুরিয়ে আসছে । অগত্যা তাঁদের কথা ভেবে বাস মালিক সংগঠন এবং ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে পরিবারগুলোতে চাল এবং আলু তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হয় । সেই চাল আর আলু আনার জন্য বাসকর্মীদের কেউ মঙ্গলকোট, আউসগ্রাম, কাটোয়া সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাইক নিয়ে ছুটতে বাধ্য হচ্ছেন গুসকরাতে । ইতিমধ্যেই বাস মালিকদের পক্ষ থেকে আড়াইশো জন বাস কর্মীর হাতে চাল এবং মাস মাস্ক তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে INTTUC ইউনিয়নের পক্ষ থেকে 400 বাস কর্মীর কাছে 10 কেজি করে চাল 5 কেজি আলু পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বাসকর্মীদের মতে যেভাবে দিন চলছে সংসারের সদস্যদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। এই দুর্মূল্যের সময়ে চাল আর আলুই বা কম কীসের ?