বর্ধমান, 4 ফেব্রুয়ারি : অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে শোরগোল ছড়িয়েছে বর্ধমানের বিষ্ণুপুর মেঘনাদ সাহা পল্লি এলাকায় ৷ তবে এই মৃত্যুর কারণ খুন না আত্মহত্যা, সেবিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ ৷ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেও এই ঘটনা ঘটে থাকতে বলে জানিয়েছে বর্ধমান থানার পুলিশ ৷
মৃত অধ্যাপকের নাম আক্তার হোসেনুর রহমান ৷ বছর চল্লিশের রহমান বর্ধমান মহিলা কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক ৷ মাস ছয়েক আগে তাঁর বিয়ে হয় সুহানা পারভিনের সঙ্গে ৷ কাজের সূত্রে সস্ত্রীক রহমান থাকতেন বর্ধমানে ৷ তাঁর বাবা-মা থাকতেন বীরভূমের রামপুরহাটে ৷ রহমানের মৃত্যুর খবর প্রথম সুহানাই তাঁর শ্বশুড়বাড়িতে ফোন করে জানান ৷ রহমানের পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর খবর দেওয়ার পর থেকেই সুহানার ফোন বন্ধ ৷ বাড়ি থেকে তাঁর সব জিনিসপত্রও গায়েব ৷
একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন মৃতের মা আরও পড়ুন :প্রাক্তন মন্ত্রীর পুত্রবধূ ও নাতনির অস্বাভাবিক মৃত্যু, খুনের অভিযোগ
হোসেনের রহমানের বাবা মুজিবর রহমানের অভিযোগ, "বউমাই প্রথম আমাদের ফোন করে জানায় ছেলে বাথরুমে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে ৷ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বলেছিলাম ৷ কিন্তু হঠাৎই সে ফোন কেটে দেয় ৷ তারপর থেকে ক্রমাগত ফোন করে গেলেও তাকে নাগালে পাওয়া যায়নি ৷ ছেলে-বউমার মধ্যে কোনও ঝগড়া-বিবাদও ছিল না ৷ অন্তত আমাদের তা জানা নেই ৷ তারপরও কেন এই ঘটনা ঘটল , বুঝতে পারছি না ৷ "
সুহানার এভাবে হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে চলে যাওয়াতে পুলিশ তাঁকেই সন্দেহ করছে ৷ বর্ধমান থানার পুলিশ জানিয়েছে, "মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে ৷ আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চলে আসবে ৷ তখনই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে ৷ সুহানার টাওয়ার লোকেসন ট্র্যাক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে ৷ খুব দ্রুত ধৃতের সন্ধান পাওয়া যাবে ৷ " যদিও মৃতের পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷ পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মহিলা কলেজে পাঠায় ৷